অবতক খবর,৩১ জুলাই,মলয় দে নদীয়া :-সম্প্রতি বাজারদর বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাস্ক ফোর্স গঠনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি জেলাশাসক মহকুমা শাসক এবং বিডিওকে নজর রাখতে বলেছেন।

অন্যদিকে সুফল বাংলা স্টলের মধ্যে দিয়ে আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজ এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যর ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে বাজারে সমতা আনার চেষ্টা করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন কালোবাজারি এবং মজুমদারদের সম্পর্কেও। সম্প্রতি আলুর দাম ২৮ টাকা বেধে দেওয়ার পর এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রতিটা ব্লকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর বিধি ব্যবস্থা হয়েছে।

এরকমই একটি অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র করা হয় নদীয়ার শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অফিসে। গতকাল বিডিও সন্দ্বীপ ঘোষ নিজে তার শুভ উদ্বোধন করেন। প্রচুর মানুষ ভিড় করে ন্যায্য মূল্যে এই অত্যাবশ্যকীয় আনাজ আলু ন্যায্য মূল্যে কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এই ক্রয় বিক্রয়ের মাঝেই ধরা পড়েছে এক অনভিপ্রেত সরকারি নির্দেশ বহির্ভূত অনৈতিক কাজ।

টেবিলের উপর থরে থরে সাজানো রয়েছে ১০ মাইক্রোনের নিচে ক্যারি প্যাকেট ভর্তি আলু আর সেই নিষিদ্ধ ক্যারি প্যাকেট সহ আলু দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। অথচ এক সময় ছোট ছোট আনাজ বাজার মাছের বাজারে পুলিশ প্রশাসন কে সাথে নিয়ে নিষিদ্ধ এই ক্যারি প্যাকেট ব্যবহারের জন্য একাধিক ফাইন করা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে সমস্ত ক্যারি প্যাকেট উৎস স্থল অর্থাৎ কারখানা নিষিদ্ধ না করেই ক্যারি প্যাকেটের বিকল্প হিসাবে স্বল্প মূল্যে বহনযোগ্য কোন কিছুর ব্যবস্থা না করেই এ ধরনের অভিযান সম্পর্কে উঠে এসেছিল নানান সমালোচনা।

কিন্তু তারই মধ্যে সরকারের নির্দেশ মান্য করতে বাধ্য করা হয়েছিল তাদের। কোথাও পুলিশের রক্তচক্ষু কোথাও বা ব্যবসা বন্ধের হুমকি নানান কিছুর মধ্য দিয়ে সে সময় অসহায় অবস্থা পার করেছেন তারা তবে ধারাবাহিকতন ছিল না মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া আর তারপর আবারও স্বাভাবিক অবস্থা। কিন্তু সেদিনের বিধানদাতারাই আজ বেনিয়মের নিদর্শন।

বিভিন্ন বাজারের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এ প্রসঙ্গে বলেন , সরকারি আইন মেনে চলার দায়িত্ব আমাদের মতন দিন-দরিদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য তারা হলেন বিধানদাতা তাই তাদের দোষ নেই।

সরকার বিরোধী দলগুলিও এ বিষয়ে প্রতিবাদে সড়ক রয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ছাড়াই শাসক দলের কিছু নেতার মধ্যে বিডিও পরিচালিত হচ্ছেন। শুধু ভুল নয় কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় যা একজন সরকারি আধিকারিকর কাছ থেকে আশা করা যায় না।

পরিবেশ এবং বিজ্ঞান কর্মীরা হতবাক! তারাও বলেন গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে গামছা কিংবা চটের ব্যাগ তৈরি করালে তাদের ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা হতো অন্যদিকে বাঁচতো পরিবেশ। “আপনি আচরি ধর্ম, অপরে শিখাও ” নিজেরাই যদি না মেনে চলি তাহলে অন্যদের অভ্যাস বদল করা কখনোই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে উনি আগেই জানাতে পারতেন বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে আসার বিষয়ে।

যদিও এ বিষয়ে বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, মূল বিষয়টি এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং জনহিত কর , তাই ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতি বড় করে দেখে আসল উদ্দেশ্য বিঘ্নিত করলে হবে না। বিক্রি করছেন বিডিও কিংবা তার কর্মচারীরা নয়, গোষ্ঠীর মহিলারা। তবে তারা যদি দশ মাইক্রোনের নিচে ক্যারি প্যাকেট ব্যবহার করে থাকেন তা খতিয়ে দেখে পরের দিন থেকে নিয়ম অনুযায়ী দশ মাইক্রোনের বেশি ক্যারি প্যাকেট তাদের রাখতে বলা হবে। তবে সংশোধনযোগ্য সামান্য এই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা এবং রাজনীতি হয়ে যাচ্ছে।