অবতক খবর,‌রঞ্জন ভরদ্বাজ/সম্পা,২ মে: বছর ঘুরে গেল।আজকের দিনেই গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল। আর জয়ী হয়েছিলেন সুবোধ অধিকারী। এরপর বীজপুরের বিধায়ক পদে আসীন হয়েছেন সুবোধ অধিকারী। ক্রমান্বয়ে মিটে গেছে পৌরসভা নির্বাচন। বিরোধী শূন্য পৌর বোর্ড গঠিত হয়েছে বীজপুরের দুই পৌরসভা হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায়। গোটা বীজপুর বিধানসভার সমস্ত দায়িত্বই এখন শাসকশ্রেণীর হাতে। উন্নয়ন হলে তার কৃতিত্ব শাসকের,আর দুর্নীতি হলেও তার দায়ভার বহন করতে হবে শাসকশ্রেণীকে। সর্বপরি মানুষই কাজের নিরিখে বিচার করবেন বীজপুরে উন্নয়ন কতটা হল এবং দুর্নীতিই বা হল কি কি।

বীজপুরের এক শ্রেণীর মানুষের বক্তব্য,বিগত দশ বছর যিনি বিধায়ক ছিলেন, তাঁর সময়ে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে বীজপুরে। কিন্তু সুবোধ অধিকারী বিধায়ক পদে আসীন হবার পর সেই অর্থে উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। শুধু চোখে পড়ছে তাঁর জনপ্রিয়তা। তিনি যে কতটা জনপ্রিয় তা বোঝাতেই ব্যস্ত একশ্রেণীর মানুষ।

অন্যদিকে বিধায়ক সুবোধ অধিকারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয় ছিলেন বীজপুরে। তিনি সর্বদাই মানুষের কাজ করার জন্য তৎপর ছিলেন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সবার আগে মানুষ। আজ বীজপুরের মানুষের জন্যই তিনি বীজপুরের বিধায়ক হতে পেরেছেন। মানুষ ছাড়া তিনি শূন্য।

তিনি বলেন, মানুষ কোন ব্যক্তি দেখে ভোট দেন না, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ভোট দেন। মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কর্তব্য। শুধু তাই নয় বীজপুরের উন্নয়ন করাই আমার স্বপ্ন। আমি নোংরা রাজনীতি করতে আসিনি। মানুষের জন্য কাজ করলে কেউ কাউকে আটকাতে পারবে না। মানুষই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি ভোটের রাজনীতি করি না।

বীজপুরের উন্নয়ন নিয়ে বিধায়কের পরিকল্পনাঃ-

বীজপুরকে ঢেলে সাজানো হবে। বীজপুর ক্রমেই হয়ে উঠবে স্মার্ট সিটি।

ইতিমধ্যেই খাল সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে কাঁচরাপাড়া বাগমোড় থেকে। এরপর খাল কেটে পরিষ্কার করে পাড় বাঁধানো হবে। খালের দুধারে হবে সৌন্দর্যায়ন। আর এর জন্য কেএমডিএ সেচ দপ্তর থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।

কলেজ মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হবে কমিউনিটি হল,পিভিআর এবং হবে একটি টাউন হল।

কাঁচরাপাড়া শহরের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের সমস্যা। তবে এবার সেই সমস্যাও মিটবে সাধারণ মানুষের। শহরে মোট তিনটি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
কাঁচরাপাড়া ৫ নং ওয়ার্ড,কলেজ মোড় এবং মোতি বাজারের বেসমেন্টে পার্কিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে হালিশহরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা। এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হবে হালিশহর ৫ নং ওয়ার্ডে। যারফলে এবার জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন হালিশহরবাসী। কাজ শুরু হবে খুব শিগগিরই।

হালিশহর তথা বীজপুরের মানুষের সুবিধার্থে হালিশহরে তৈরি হবে হাসপাতাল।

এছাড়াও পরিকল্পনা করা হয়েছে বীজপুরে দুটি সরকারি ইংরেজি মাধ্যমের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

বিধায়কের স্বপ্নের এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে মানুষ উপকৃত তো হবেনই,এর পাশাপাশি বীজপুরকে স্মার্ট সিটি করার স্বপ্নও বিধায়কের পূরণ হবে।