অবতক খবর নিউজ ব্যুরো : : ১৬ই,ডিসেম্বর :; কোলকাতা :: জোড়া বিরোধিতাকে সামনে রেখেই আজ কলকাতার রাজপথে মিছিলে নামল তৃণমূল নেতৃত্ব। যার পুরোভাগে একা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক অবস্থানে অটল থেকে কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছিল আগে থেকেই। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) তৈরির ক্ষেত্রে যেমন তীব্র বিরোধী অবস্থান, তেমনই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকেও (CAA) কখনও সমর্থন করবে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দুপুর ১ টার কিছু পরে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে তিনি যা করলেন, তা হল উপস্থিত জনতাকে শপথবাক্য পাঠ করানো। শপথের কথা খানিকটা এরকম – ”আমরা সবাই দেশের নাগরিক। সর্বধর্ম সমন্বয় এ দেশের আদর্শ। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। সকালে মিলে শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি, ক্যাব হতে দিচ্ছি না, দেব না।”
মমতা জনতার উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন মিছিলে বহিরাগতরা ঢুকে অশান্তি বাঁধাতে পারে। তাঁর কথায়, ”সকলে শান্তি বজায় রেখে মিছিলে হাঁটবেন। দেখবেন, বাইরে থেকে কেউ যেন মিছিলের মধ্যে ঢুকে অশান্তি করতে না পারে। গোটা রাস্তা সিসিটিভি কভারেজের মধ্যে আছে। সুতরাং সাবধান।”
গত কয়েকদিন প্রতিবাদের নামে অশান্তির ঘটনার কথা উহ্য রেখেই মমতা বারবার বলেন, ”কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্তি বজায় রেখে প্রতিবাদ করতে হবে। আমি হিংসাত্মক পথে আন্দোলন বরদাস্ত করব না। কেউ নিজের আখের গোছানোর জন্য এসব করছে। কিন্তু সবাইকে বলব, কেউ ট্রেনে আগুন দেবেন না, রাস্তা অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। ”
তৃণমূলের এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে সোমবার দিনের শুরু থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। যে পথে মিছিল এগোবে, সেসব রাস্তার দু’পাশে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড, মোতায়েন ছিলেন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরাও। নির্ধারিত সময় মতোই মিছিল শুরু হয়। তাতে অংশ নিয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষও।
তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপি বিরোধী সুর চড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেন, ” এই আইন প্রত্যাহার না করলে, আমরা রাস্তায় এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। কী করবেন? সরকার ফেলে দেবেন? দিন, তবু আন্দোলন চলবে।”