অবতক খবর,বোলপুর,২৩ আগস্ট: গোরু পাচার মামলায় বোলপুর জুরে চলছে সিবিআই তল্লাশি। তাই রাতারাতি উঠে গেল বীরভূম জেলা পরিষদের অবৈধ টোল আদায় কেন্দ্র৷ এই কাল সম্পূর্ণ নিয়ম বহিভূতভাবে জাতীয় সড়কের উপর টোল আদায় করত জেলা পরিষদ। কিন্তু, এই টাকা কোথায় যেত, কোন সদুত্তর ছিল না৷
বোলপুর থেকে বর্ধমান যাওয়ার পথে অজয় নদের উপর অজয় সেতুর আগে একটি টোল আদায় কেন্দ্র ছিল৷ জাতীয় সড়কের উপর বীরভূম জেলা পরিষদের প্যাডে টোল আদায় করা হত৷ নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক৷ পরে ২০২২ সালে এই বোলপুর সুরতেশ্বর শিবতলা মোড়ে বীরভূম জেলা পরিষদের নাম লিখে একটা টোল আদায় কেন্দ্র তৈরি হয়৷ ২ বি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে টোল আদায় করে জেলা পরিষদ। দিনে হাজারো গাড়ি যায় এই পথ ধরে। ছোট গাড়ি ১০, ২০, ৩০, ৫০ টাকা থেকে বড় গাড়ি ৮০, ১০০, ১১০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করা হয়৷ গড়ে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিনে আদায় হয় এই টোল আদায় কেন্দ্র থেকে। কিন্তু, জাতীয় সড়কের উপর জেলা পরিষদের টোল আদায়ের কোন এক্তিয়ার নেই৷ এই টাকা জেলা পরিষদের কোন খাতে জমা পড়ে, তা নিয়েও কোন দিন মেলেনি সদুত্তর।
অভিযোগ, ছিল এই টোল আদায় কেন্দ্রের টাকাতেই বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের কার্যালয়ের যাবতীয় খরচ বহন করা হত৷ গোরু পাচার মামলায় বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে সিবিআই হানা৷ তাই রাতারাতি উঠে গেল জেলা পরিষদের টোল আদায় কেন্দ্রটি৷ রঙ করে মুছে দেওয়া হল জেলা পরিষদের নাম। এতকাল সম্পূর্ণ নিয়ম বহিভূত ভাবে এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি৷ যদিও, তিনি আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এই রকম কোন টোল আছে বলে তার জানা নেই৷ অর্থাৎ, জেলা পরিষদের নামে টোল আদায়ের কথা খোদ জেলা সভাধিপতিই জানতেন না৷