অবতক খবর,৯ ফেব্রুয়ারি,নদিয়াঃ নদিয়ার গাংনাপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোমা বিশ্বাস অনুমতিতে বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং সহশিক্ষিকাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উদ্যোগে বিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী খাদ্য মেলা এবং চার দিন ব্যাপী চারু, কারু, শিল্প ও ভাস্কর্য শিল্পের প্রদর্শনীর শুভ উদবোধন হল আজ।
বিদ্যালয়ের কর্মশিক্ষা বিভাগের সুদক্ষ শিক্ষিকা দিবান্বিতা দত্ত উদ্যোগে ও তার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্পকর্মে। কর্মশিক্ষার ক্লাসের ছাত্রীদের নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের শিল্প সম্ভারের দ্বারা এই প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই শিল্প সম্ভারের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে সকল শিক্ষিকা তথা এলাকাবাসী। বিশেষ উল্লেখ্য যে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছে।
বিদ্যালয়ের এই কর্মযজ্ঞে অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষিত করেছে খাদ্য মেলা; যার মূলে রয়েছেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহ-শিক্ষিকা শ্রীমতি কৃতিকা ঘোষ মহাশয়া, যিনি খাদ্য রসিকও বটে। কৃতিকা ম্যাডামের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের সম্ভারে সাজিয়ে তুলেছে খাবারের স্টল গুলি। এই রসনার তালিকায় ঝালমুড়ি, আলু কাবলি, মোমো, কাপকেক, অরিও মিল্ক শেক, পাটিসাপটা চাওমিন দই- চাটনি ফুচকা, পাপরি চাট, ফ্রুড স্টিক উইথ চকলেট দিতে খাদ্যের পশার সাজিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
বাঙালি সংস্কৃতির পিঠে পুলি থেকে অত্যাধুনিক সংস্কৃতির খাবারের একটা মেলবন্ধন লক্ষ্য করা গেল এই মেলায়। ছাত্রীদের উৎসাহ ছিল সারা জাগানোর মতন।
বিদ্যালয়ের এই অনুষ্ঠান বা মেলার মূল লক্ষ্য ছিল- প্রথমত নান্দনিক বিনোদনের মাধ্যমে দৈনন্দিন পাঠের একঘেয়েমি তাকে দূর করা। দ্বিতীয়তঃ হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা। তৃতীয়তঃ ভবিষ্যৎ জীবনে কর্মের মাধ্যমে সু প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
চতুর্থত ছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।
এবং সর্বোপরি ছাত্রী শিক্ষিকাগনের পারস্পার িক বিনিময়ের মাধ্যমে আজকের এই মিলন সত্যিই মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে;
আর এই মিলনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি রয়েছেন তার নাম না করলেই নয়; তিনি হলেন বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত; যার নিরলস প্রচেষ্টা বিদ্যালয়ের এই অনুষ্ঠান টিকে পরিপূর্ণতা প্রদান করেছে।