অবতক খবর: জুলাই’র ৮ তারিখ রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার প্রাক্কালে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আবার গুলি চলল গিতালদহে। গিতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী প্রধান লাভলি বিবির ভাইকে গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শাহানুর হক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বুধবার সকালেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
মঙ্গলবার মাঝরাতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজলি খাতুনের ভাই শাহানুর হক গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শাহানুরকে। অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। এদিন বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শাহানুর। রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লেগেছে শাহানুরের পেটে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শাহানুরের।
গত মঙ্গলবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিনহাটা এলাকা। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি চালিয়ে খুন করেছিল আততায়ীরা। তার জেরে মারা যান বাবু হক নামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। আর আহত হয়েছিলেন ছ’জন। জলপাইগুড়ির নির্বাচনী জনসভা থেকে সে কথা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। সেই খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার রাতেই গুলি চলল দিনহাটায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ভাইকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকে গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে।এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে শাহানুরকে। তৃণমূল প্রার্থীদের চিহ্নিত করে হামলা করা হচ্ছে।’
এর পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে গুলি চলে গোসাবাতেও। এখানেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। গোসাবা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে গুলি চলেছে। তার জেরে সাইফুল মোল্লা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর আঙুলে গুলি লেগেছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। এই গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়ে গোসাবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে।