অবতক খবর,৩ জানুয়ারি: পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেরম্ব গোপাল পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের উপপ্রধান সুকুমার হাতি ওরফে বাবলু। শাসক দলের উপপ্রধান হওয়ায় এলাকায় নামডাক রয়েছে, নিজে ICDS শিক্ষিকা স্ত্রী ও ১টি ছেলেকে নিয়ে বাস করেন বহু মূল্যের একটি পাকা বাড়িতে। যে বাড়ির প্রধান দুয়ারে গেলে দেখা যায় উপরে রয়েছে দুদিকে দুটি হাতির মুর্তি,নিজের নামের পদবীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই হাতির মূর্তি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন মান সম্মানের অধিকারী সুকুমার হাতি ওরফে বাবলু হাতির বিরুদ্ধে নিজের ৮৫ বছরের মা এবং ৪০ বছরের বোন মারাত্মক অভিযোগ তুললেন।
যদিও বা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুকুমার হাতি ওরফে বাবলু। তিনি বলেন, থানাতে তার মা তার বিরুদ্ধে নালিশ করে। তিনি থানা অধিকারের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত কথা বলেছেন, সবই তার মায়ের দোষ।
অন্যদিকে মা শ্রীমত্যা অবলা হাতি ও বোন চন্দ্রা হাতি অভিযোগ করেন তার উপপ্রধান দাদা এবং অন্য আরো তিন ভাই একত্রিত হয়ে তাদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে দিনের পর দিন। চড়-থাপ্পড়,মারধর খেতে হয় তাদের। বর্তমানে স্বামীর তৈরি বাসস্থান থেকে মারধর করে বার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।
বাধ্য হয়ে গত কয়েকদিন আগেই পাথরপ্রতিমা থানায় ছেলের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ বৃদ্ধা। এমনকি নিজের জায়গা ফিরে পেতে কোর্ট কেস পর্যন্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান ছেলে। বৃদ্ধাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে হেরম্ব গোপাল পুর গিয়ে দেখা যায় বৃদ্ধা মা এবং তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে একটি ছোট্ট ঘরে কোনরকমে মাথাগোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে। ঐ ঘরটিও বৃদ্ধার নিজের নয় অন্য একটি ছেলের।তখন বাজে দুপুর প্রায় ১২টা, বৃদ্ধা মা এবং মেয়ে একই থালায় শুকনো মুড়ি চিবাতে চিবাতে সাংবাদিক দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।কাঁদতে কাঁদতে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বর্তমানের সমস্ত কথা বলতে গিয়ে উপপ্রধান ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। বাদ গেলেন না মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে, তিনিও তার উপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরলেন।
দুপুর ১টা নাগাদ মা-মেয়ে খাওয়ার জন্য ভাত সঙ্গে তরকারি আলু বেগুন কপির ঝোল বসিয়ে দিলেন।
তবে এই বিষয়ে বাবলু হাতির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান মা, তার এবং অন্যান্য ভাইদের সম্পত্তি ভোগ করছেন তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে। ছেলের কথা যদি সত্যি হয় আর মায়ের যদি প্রায় ১৬ বিঘা জায়গা থাকে তাহলে মা এবং বোন কেন ছেঁড়া কাপড় জামা পরে শুকনো মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন? এটাই প্রশ্ন এলাকার বহু মানুষের।