বিনয় ভরদ্বাজ :: অবতক খবর :: ৮ই,ডিসেম্বর :: নৈহাটী :: নৈহাটিতে ইতিমধ্যে সমস্ত পার্টি অফিস দখল মুক্ত করতে সফল হয়েছে তৃণমূল । এখন তারা ক্লাব দখলে নেমেছে । নোহাটি মোটামুটি পার্থ ভৌমিক নিজের আয়ত্তে এনে ফেলেছেন কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তার দলের ভেতরে খেয়োখেয়ি নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়েছে ।
গৌরীপুরে মিঠুন পাশওয়ানকে সামনে রেখে পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন । পার্থও ভৌমিক আর মিঠুনকে সামনে রেখেই শতাধিক ছেলেরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে । গনেশ দাস কে কাঙাল করে দিয়ে তারা সমস্ত দলবল নিয়ে মিঠুন তৃণমূলে যোগদান করে কিন্তু তাকে যে ভরসা দেওয়া হয়েছিল সেই ভরসা রাখতে পারেনি তৃণমূল ।জানা যাচ্ছে চোলাই মদ ছাড়া এই বিভিন্ন ধরনের বেআইনি ঠেক গুলোকে দখলকে কেন্দ্র করে মিঠুন ও তার মধ্যে গন্ডগোল বেঁধেছে।
গৌরীপুর উৎসবকে কেন্দ্র করে ডাকা মিটিংয়ে মিঠুন পাশওয়ানকে ডেকে বেধড়ক পেটানো হয়।যদিও এই মিঠুন পাশওয়ান ও তার ছেলেরাই ছিল বিজেপি নেতা গণেশ দাসের ক্ষমতা ক্ষীণ করার কারিগর। সেই মিঠুন পাসওয়ান তার নিজের দলের ছেলেদের হাতে নিগৃহীত হলেন ব্যাপকভাবে।
এই মিঠুন পাশওয়ানই গৌরীপুর অঞ্চলের শতাধিক ছেলেদের নিয়ে বেরিয়ে এসে সুবোধ অধিকারী ও পার্থ ভৌমিক এর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন কিন্তু এখন সেই একই দলে সেই কাউ ও তার সঙ্গীদের হাতে নিগৃহীত হল মিঠুন।
মিঠুন পাশওয়ান জানান তাকে মিটিং এর জন্য ডাকা হয়েছিল । সে তার ছেলেদের ছেড়ে একাই গেছিল মিটিঙে। মিটিং চলাকালীন তার সাথে বচসা বাধে কাউ এর। মিটিং শেষ হতেই অশোক চ্যাটার্জী ও বিভিন্ন কাউন্সিলর ও সিআইসি রাজেন্দ্র গুপ্তার সামনে তাকে বেধড়ক পেটায় কাউ ও তার দলবলের ছেলেরা।
মিঠুন পাশওয়ান জানান ঘটনার সমস্ত ব্যাপারটি সুবোধ অধিকারী ও পার্থ ভৌমিক কে তিনি জানিয়েছেন কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শুধু তাই নয় কাউ গোষ্ঠীর ছেলেরা হাজিনগর গৌরীপুর এলাকায় বহু বেআইনি চোলাই জুয়া ও সট্টার ঠেক চালাচ্ছে ।
তারা এর প্রতিবাদ করেছিল। মিঠুন জানায় চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জি ও তার দলের লোকেরা কাউ কে মদদ দিচ্ছে। তারা বেআইনি টাকা তুলছে মার্কেট থেকে আর তাদের নেতৃত্বেই বেআইনি ঠেক গুলো চলছে। পুলিশ এর মধ্যে ভাগে বসাচ্ছে। মিঠুনের অভিযোগ তাকে অন্যায় ভাবে মারা হলো এরপর নৈহাটী পুলিশ ও তার পিসি পার্টির সুবীর বাবু এসে তাকে প্রতিনিয়ত শাসিয়ে যাচ্ছে । মিঠু জানায় তাকে থানায় এসে হাজির দিতে বলা হয়েছে।