অবতক খবর,৩০ এপ্রিল: আজ কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন নেতাজি সুভাষ রিজিওনাল কো-অপারেটিভ ম্যানেজমেন্ট অডিটোরিয়ামে উদ্বোধন হলো সুধীর চন্দ্র পালের ‘ভিন্ন গ্রহে নতুন মানুষ’ গল্পগ্রন্থটি। বইটি উন্মোচন করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ড. বিমলেন্দু বিশ্বাস, সহ পরীক্ষা নিয়ামক অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার কবি ও সাংবাদিক তমাল সাহা এবং কবি অজয় চক্রবর্তী যৌথভাবে। এদিনের অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত মনোগ্রাহী। ঘরোয়া পরিবেশে একটি অনুষ্ঠান এত সুগ্রন্থিত
হয়ে উঠতে পারে এটা ভাবনাতীত। অনুষ্ঠানে ছিল সাহিত্য আলোচনা,কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, সঙ্গীতে পরিপূর্ণ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশ।

অনুষ্ঠানে সমবেত উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন রূপা ঘোষ,মালবী বিশ্বাস,সুপ্রিয়া পাত্র,কাবেরী মুখার্জী, পূর্ণিমা রায়, তবলায় সহযোগিতা করেন জয় মুখার্জী।
এদিন মৈত্রীদুত পত্রিকার সম্পাদক কুশল মৈত্রকে এবং চাতক পত্রিকার সম্পাদক দিলীপ মিস্ত্রিকে সংবর্ধনা প্রদান করেন যথাক্রমে উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং কবি অজয় চক্রবর্তী। ড. বিমলেন্দু বিশ্বাস এবং অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারকেও সংবর্ধিত করা হয়।

এদিন অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন শমিত মন্ডল, চন্দন সাহা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সোহিনী ঘোষ ও শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য। সুধীর চন্দ্র পালের লেখালেখি নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন কবি রণজয় মালাকার। ড. বিমলেন্দু বিশ্বাস এবং অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার সুধীর চন্দ্র পালের সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনের সান্নিধ্য, লেখালেখির বিষয়, লিখনশৈলী ও তার সৃজনশীল ক্ষমতা এবং অঞ্চলে যে একটি সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডল গড়ে ওঠা উচিত এই বিষয় সমূহ তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিস্ফুট করেন।


এদিন সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া পাত্র ও কাবেরী মুখার্জি। গল্প লেখক সুধীর চন্দ্র পাল অত্যন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে তাঁর লেখার উদ্দেশ্য কি, তিনি কি বিষয়ে লেখেন এবং তিনি একটি নতুন পৃথিবী গঠন করতে চান যেখানে থাকবেনা বিভেদ বৈষম্য,যেখানে মানুষ হবে উদার পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। এটিকে তিনি সামাজিক দায় বলে মনে করেন, সজল সরল বক্তব্যে তা জানিয়ে দেন

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে শিশুশিল্পী অভিরাজ পাত্রের সঙ্গীত পরিবেশন এবং কথা ও গানে উত্তম ঘোষ ও রূপা ঘোষের যৌথ উপস্থাপনা অনুষ্ঠানটিকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়। সঞ্চালক দেবাশিস রায় অনুষ্ঠানের মালা গাঁথার কাজটিতে ছিলেন অনন্য মালাকার।