অবতক খবর,২৭ সেপ্টেম্বর,জয়নগর:—-চাকরির পরীক্ষার ইন্টারভিউ হোক কিংবা স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে অথবা বাড়ির ঠিকানা বলাটা ছিল এতদিন মারাত্মক লজ্জার। সর্বপরি বিড়ম্বনা ছিল ছেলে বা মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে। সম্বন্ধ করতে গিয়ে এলাকার নাম শুনেই অনেকেই বিয়ের কথা বাতিল করে দিতেন। শুধুমাত্র এলাকার নামের কারণে ভাঙছে বিয়ে এমন অভিযোগও উঠেছে। গ্রামের নাম বলতে লজ্জা পেতেন এলাকার মানুষজন । এতদিন এলাকার নাম বললে কটাক্ষ, মস্করার শিকার হতে হত স্থানীয়দের। এই রকম লজ্জাজনক নাম নিয়ে বছরে পর বছর ধরে অস্বস্তির মধ্যে কাটাচ্ছিলেন তাঁরা । অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগ নিলেন, গোটা গ্রামেরই নাম পরিবর্তন করলেন গ্রামবাসীরা। হ্যাঁ ঠিক এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এক নম্বর ব্লকের অধীনে হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শরৎপল্লী। ওই এলাকার একটি স্হান দীর্ঘদিন ধরে কাওড়া পাড়া নামে পরিচিত ছিল। যেখানে মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষদের বসবাস। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার প্রসার, জীবন জীবিকার আমূল পরিবর্তন প্রভৃতির কারণে অতীতের সেই ধ্যান ধারণা ও বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
উক্ত প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান আমাদের ফেলে আসা সেই দিনগুলি আর আমরা ফিরিয়ে আনতে চাইনা। আমাদের এলাকার ছেলে-পুলেরা আস্তে আস্তে শিক্ষিত হচ্ছে। তারা বিভিন্ন কাজের মধ্যে যুক্ত হয়ে পড়ছে। এলাকার বিভিন্ন চিঠি আসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাগজপত্রে আমাদের গ্রামের নাম কাওড়া পাড়া বলে উল্লেখ থাকছে । মূলত আরো একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল আস্তে আস্তে গ্রামের মেয়েরা বড় হচ্ছে আর তাদের কোথাও বিয়ের সম্বন্ধ আসলে সমাজের কাছে শিক্ষিত হলেও এই কাওড়া পাড়া নামের কারণে বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শুভ কাজে পিছিয়ে পড়ছিলাম । আর সেই নাম পরিবর্তন করার জন্য গ্রামের মানুষজন জোটবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দারস্থ হয় । অবশেষে একটি
অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এলাকার নতুন নামকরণ করা হল । নতুন নাম হল “শরৎপল্লী “।
আজ গ্রামের মানুষজন দারুণ খুশি গ্রামের নাম পরিবর্তন হওয়ায় জন্য। যা আগামী দিনে আমাদের পথ চলতে সাহায্য করবে।