ঘটমান শব্দছবি
তমাল সাহা
বিষয় সরোজ দত্তঃ আমি যতটুকু জানি
তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল সোজা বাংলায়
গলা কেটে নিয়ে চলে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় ডাল কুত্তা।
জানিনা কেন কেটে নিয়েছিল বা তাতে কোনো লাভ হয়েছিল কিনা এবং পুরোপুরি গায়েব করে দিয়েও কি পেয়েছিল তা আমি জানিনা।
কারণ কণ্ঠরোধ যদি আসল বিষয় হয়ে থাকে তবে তার সব কথা বলা হয়ে গিয়েছিল।
যতদূর আমি জানি বীজধানের মতো বিপ্লব শব্দটা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তার লেখালেখি সবই মানুষের কাছে রয়ে গিয়েছে। সরোজ নামটাও বাতাসে ঘুরছে ফিরছে, তার চলমানতা বজায় রয়েছে।
তবে সাচ্চা কবি সাংবাদিক প্রাবন্ধিককে কেন খুন করতে হয় সেটা আমি সচেতনভাবে জানি
তারা নাকি আগুন ও বারুদের চেয়েও ভয়ংকর!
আগুন আলোক শক্তি উৎপন্ন করে,
বারুদ শব্দ শক্তি উৎপন্ন করে এবং ছড়িয়ে যাওয়াই এই দুই শক্তির ধর্ম….
এদের ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো যায় না!
২) নারীরা অসহায়তা
সব মন্ত্রীই তো আসে
তুমি একা দেখা করতে চাও কেন
সকলেই বুঝে যাবে, জানো!
আমি যে নারী
এ সময়ে আমি অসহায় নিরুপায়
তোমাকে ছাড়া কি কিছু করতে পারি
ত) মালি
আসলে কমিউনিস্টি খানদান
খুরপি নিড়ানি হাতে মালি
সাজিয়েছে লাল ফুলের বাগান।
পানপাত্রে মানুষকে ভালোবাসার মদ।
কুড়ি বছর জেলেরজীবন
কমরেড মুজফফর আহমদ
৪) সরোজ হররোজ
সূর্য ওঠে রোজ
চতুর্দিকে এত আলো, তবুও
খোঁজ না নিখোঁজ শব্দ দুটিকে
সমস্যায় ফেলে দিয়েছে ‘সরোজ’।
শব্দ দুটি বলে, আরে!এজন্যই তো
ওকে তোদের মনে থাকে হররোজ।