করোনা করেছে জীবনকে ঘরবন্দি। পৃথিবীর সব ঘর এখন এক একটি ছোট জেলখানা। সম্পর্কের পরিসর ছোট হয়ে আসে। নিকট শব্দটি কি দূরে চলে যেতে চায়!

ঘরবন্দি
তমাল সাহা

ঘর বাঁধবার কথা
কতবার বলেছো তুমি!
গেরস্থালি জীবনের
প্রশান্তি বড় মায়াময়।
ঘর মানেই তোমার
হাতের স্পর্শ লেগে থাকে
সমস্ত বাড়িময়।
নিকোনো উঠোন রান্নাঘর
স্নানঘর সর্বত্র
জানালা দরজা বিছানায়।

ঘর ছাইতে বলেছো তুমি
ছেয়েছি ঘর
খড় বিচুলি, হোগলাপাতা
অথবা পোড়ামাটির টালিতে।

কিন্তু তুমি ঘরে কতক্ষণ
আটকে রাখতে পেরেছো আমায়!
ভবঘুরে আমি টো টো করেছি
নদী, অরণ্য, বস্তি মহল্লায়।

সেই আমি আজ ঘরবন্দি হয়ে আছি
তুমি আছো, তবু আমি অসহায়।
করোনা যা পারে তুমি পারো কি?
করোনা আক্রমণের সংক্রমণ ছড়ায়
তোমার আক্রমণ
ভালোবাসতে গিয়ে বাধা পায়।

দূরত্ব শব্দটি ছিল।
তার আগে বসে গেল সামাজিক।
করোনা যা পারলো সহজেই
তুমি আরও দূরে চলে গেলে শারীরিক।

স্পর্শ করি না তোমাকে আর
তুমি আসতে চাও কাছে।
বিষাদ ছায়া ফেলে,করি হাতজোড়।
প্রমাণ হয়ে গেছে
তোমার চেয়ে করোনার বেশি জোর।