চক্রব্যূহ
তমাল সাহা
জন্মালেই কাছে আসা যায়না। কাছে না এলে সে জন্মেরও কোন মানে হয় না। অনেক চালাক চালাক কথা হলো, শব্দের মারপ্যাঁচে অনেক কবিতা হলো।
মোদ্দাকথা লেনিন জন্মেছিল এবং কাছে এসেছিল। মানুষের মুখ দেখে বুঝেছিল, মানুষ খুব কষ্টে আছে। তখনই লেখা হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর প্রথম কষ্টের কবিতা।
এনিয়ে পোস্টমডার্ন কবিতা লেখার কোনো মানে নেই এবং কবিতার পোস্টমর্টেমও করার দরকার নেই।
কারণ লেনিন শব্দটির কোনো পোস্টমডার্ন হয়না, আর লেনিন শব্দটিকে পোস্টমর্টেম করলে শুধু মানুষই পাওয়া যাবে তা সকলেরই জানা।
সে সোজা বিষয়টি সোজা করেই বুঝেছিল।
মানুষের রুটি রুজি ও আশ্রয় নেই।
এর জন্য লড়াই জরুরি এবং আরো জরুরি প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে থাকা।
খেয়াল করা দরকার পাশে থাকা নয়, মানুষের মধ্যে থাকা।
লেনিন জানতো পাশে থাকলে সাইড থেকে সহজেই সটকে পড়া যায়।
মানুষের কেন্দ্রে থাকা মানে বৃত্ত রচনা করে তোমাকে পরিধির মতো ঘিরে থাকবে মানুষ।
মানুষের বলয়ের মধ্যে থেকে তোমার বেরিয়ে আসা অসম্ভব।
কারণ মানুষের চক্রব্যূহে পড়ে গেছো তুমি!
লেনিন আসলে একথাটাই বোঝাতে চেয়েছিল
আমরা এতোদিনেও সে কথা বুঝিনি!