অবতক খবর,১ এপ্রিল: চরম অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে যন্ত্রণা ভোগ করছেন চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্র। বানারহাট ব্লকের মঙ্গলকাটা চা বাগানের নালডাং পাড়া এডিশনাল প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র শিশুটির নাম জিজ্ঞেস মুন্ডা। তার বয়স নয় বছর।
একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ্য নেই পরিবারের। চিকিৎসার অভাবে প্রায় অন্ধ হতে বসেছে ছেলে। এমনই করুন দৃশ্য দেখা গেল মঙ্গলকাটা চা-বাগানের এক বিঘা শ্রমিকের বাড়িতে। জিজ্ঞেস মুন্ডার মা জিতনি মুন্ডা বলেন এক বছর আগে ডিসেম্বর মাসের এক সকালে বাড়ির সামনে ছোটদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই ডান চোখে আঘাত পায় সে। এরপর থেকেই চোখের জ্বালা শুরু হয় সেই সঙ্গে শুরু হয় জল পড়া। স্কুলের শিক্ষকরা স্থানীয় বানারহাট লায়ন্স ক্লাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন জটিল সমস্যা তৈরি হচ্ছে চোখে এবং অবিলম্বে শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। দরকারে অপরেশন করাতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওই ছাত্রের মা জীতনি মুন্ডা বলেন তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করানো। তার কাছে কোন পয়সা নেই এবং তিনি বাগানের অস্থায়ী শ্রমিক বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তার দুই মেয়ে এক ছেলে। বাবা সন্তোষ মুন্ডার মৃত্যু হয় প্রায় চার বছর আগে।
বাগানের একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন চারজন। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ডাক্তার দেখিয়েছেন মা। ওষুধ কেনার টাকা দিয়েছেন শিক্ষকরা। স্কুল সূত্রে জানা গেছে জিজ্ঞেস মুন্ডা বেশ ভালো ছাত্র।
স্কুলের শিক্ষকরা চান সেরে উঠুক তাদের ছাত্র। স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এই অবস্থায় সাহায্য ছাড়া জিজ্ঞেসের চোখের চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব। ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চোখে জল অসহায় মায়ের।
স্কুলে গেলে দেখা যায় অন্যান্য বাচ্চাদের মতই পড়াশোনায় ব্যস্ত জিজ্ঞেস। এক চোখ মিটমিট করছে ,অন্য চোখে ভালো করে দেখতে পারছেনা সে। ডান চোখ দিয়ে জল পড়তে দেখা যায় জিজ্ঞেসের। দারিদ্র্য আর অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে না পেরে চিরতরে অন্ধ হতে চলেছে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখা জিজ্ঞেস মুন্ডা।