অবতক খবর,৩০ মে: আট থেকে আশি এখন সকলের হাতেই স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন হাতে থাকার ফলে যেমন দুনিয়াটা আপনার হাতের মুঠোয়, তেমনি এর নেতিবাচক দিকগুলোও কিন্তু এড়ানো যায় না সহজে। এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষ পৌঁছচ্ছে বহুদূর, অন্যদিকে এই স্মার্টফোনের কারণেই আবার চলে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। এখন এমন যুগ যে, ছোট ছোট শিশুরা পর্যন্ত এই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শুধু শিশুরা নয়, কিশোর-কিশোরীরা এই মোবাইলে এতটাই আসক্ত হয়ে যাচ্ছে যে, তারা তাদের এক মুহূর্ত এই স্মার্ট ফোন ছাড়া ভাবতে পারে না।
একসময় আমাদের দেশে টিকটকের খুব চল ছিল। কিন্তু এই টিকটকের কারণে বহু বিপদ ঘটায় এমনকি মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ায় ভারত সরকার ব্যান করে দেয় এই অ্যাপটি। কিন্তু টিকটক না থাকলে কি হবে, এখন টিকটকের মতোই অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বানাচ্ছে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরা। আর এই ভিডিও বানানোই কাল হয়ে গেল কাঁচরাপাড়ার এক কিশোরের। ভিডিও বানাতে গিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে চলে গেল তরতাজা প্রাণ।
কাঁচরাপাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ড সিটি বাজার সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস করত ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণীর ছাত্র জিতু দাস। ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরেই মোবাইলে বিভিন্নরকম ভিডিও বানাতো।
ঠিক সেরকমই আজ বিকেলে জিতু এবং তার ৫-৬ জন বন্ধুরা মিলে কাঁচরাপাড়া থেকে ট্রেনে ওঠে ভিডিও বানানোর জন্য। আর কাঁচরাপাড়া থেকে ট্রেন ছাড়তেই চলন্ত ট্রেনে ভিডিও বানানো শুরু করে জিতু। কিন্তু তার অসাবধানতাবশত সে একটি পোস্টে ধাক্কা খায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে জিআরপি জিতুর দেহটি উদ্ধার করে জেএনএম হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব তার বন্ধুরা। জিতুর এইভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তবে কি এই অত্যাধুনিক টেকনোলজি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুবসমাজকে?