অবতক খবর,মালদা:সানু ইসলাম: কথায় আছে নদীর তীরে বাস, ভাবনা বারো মাস।কিন্তু চাঁচল ১ নং ব্লকের গালিমপুর পূর্ব পাড়ার মানুষদের মনে শুধু ভাবনা নয় আতঙ্ক গ্রাস করেছে।গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতের পরেই বাড়ছে মহানন্দার জল।গালিমপুর এবং আশাপুরে শান্ত মহানন্দা এই মুহূর্তে অশান্ত, জলে ফুঁসছে ।গালিমপুর পূর্ব পাড়ার প্রায় ৫০ টি বাড়ি নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছে। ভাঙনের আশঙ্কায় আতঙ্কের প্রহর গুনছে। নদীর পাড় ছাপিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ির দুয়ারে মহানন্দার জল।স্রোত বাড়ছে মহানন্দায়।যদিও এই সমস্যা পূর্ব পাড়ায় নতুন নয়। প্রত্যেক বছরই মহানন্দার জলে প্লাবিত হয় পূর্বপাড়া। দীর্ঘদিন নদী পাড় সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল এলাকাবাসী। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নতুন বোল্ডার দিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দ অর্থে শুরু হয়েছিল নদী পাড় সংস্কারের কাজ।শিল্যানাস করেছিলেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পরেই কাজে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল এলাকাবাসী।সেই খবর তুলে ধরা হয়েছিল খবরে । কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ তারপরেও সিডিউল মেনে সঠিক ভাবে কাজ হয়নি।যদি হত বর্ষার আগে কাজ শেষ হয়ে যেত। এদিকে বর্ষা শুরু হওয়ার ফলে মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।এদিকে মহানন্দার জল বাড়তেই বিপাকে পূর্ব পাড়ার মানুষ। বোল্ডার চলে গেছে জলের তলায়। বাড়ছে জল স্তর।আরো জল বাড়লে যে কোন সময় কয়েকটি বাড়ি চলে যেতে পারে নদী গর্ভে। বেশ কিছু জায়গায় নদীর জলে মাটি কাটছে।সাথে বাড়ছে সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব।দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটছে পূর্বপাড়ার মানুষদের।

যদিও সেচ দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে মহানন্দার জল এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।এই মুহূর্তে জলের উচ্চতা ২০. ৮২ মিটার।গালিমপুর এবং আশপুর মহানান্দায় নাব্যতার কারণেই পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ।

এই প্রসঙ্গে সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান,” বর্ষার সময় কাজ তো বন্ধ রাখতেই হবে। নাতো সম্পূর্ণ কাজটা নষ্ট হয়ে যাবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।যে কোনো বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত।”