দুনিয়ার সব শিশুই শৈশব থেকে চাঁদ চেনে।কবিরাও চেনে চাঁদ। চাঁদের চিত্রকল্পে লেখা হয়েছে অসংখ্য কবিতা। চাঁদকে জীবনের কাস্তে, রুটি বানানোর পদ্ধতি জানে শুধু বাংলার কবি।

চাঁদ
তমাল সাহা

কী দেখছে শিশুটি?
বড় করে চক্ষু দুটি!
আকাশে ওর দিকে
উঁকি দিয়ে চাঁদটি।
ওটা কি
কোনো পোড়া রুটি!

এই চাঁদ কী সেই চাঁদ!
আয়! আয়! চাঁদ মামা
দিয়ে যা সোনার কপালে টিপ!
হাড়পাঁজরা বের করা ভাগ্নে তোর,
বুক করে ঢিপঢিপ!

চাঁদ দেখতে গিয়ে
কেউ দেখে ফেলে
প্রিয়তমার মুখ।
চাঁদেও গ্রহণ লাগে
দুনিয়া জুড়ে চাঁদ নিয়ে
কত অসুখ-বিসুখ!

কেউ বলে
বাঁশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠেছে ওই!
ওই চাঁদ ধরবো আমি
আকাশ বেয়ে মই !

কবি বলে,
ঐ চাঁদ হলো এ যুগের কাস্তে।
হায়! চাষা খেলো মরণ-বিষ
শেষ হাসি হাসতে।

এক কবির
জোয়ান চাঁদ! ছোকরা চাঁদ!
মেঘ সরাতে সরাতে যায়…
কর্জে ডুবে চাষি টালমাটাল পায়
মরা ক্ষেতে হাঁটে মাতাল হাওয়ায়।

আরেক কবি না ছাই!
তার সবকিছুতেই না,তোলে হাই।
কোথায় কাস্তে, কোথায় রুটি?
আমি তো দেখি আবিশ্ব এক কঙ্কাল করোটি।

খিদে তো আগুন, সর্বভুক
ইট কাঠ পাথর সব খায়।
চাঁদ তো চিত্রকল্পে বিশাল রুটি!
সুকান্ত লিখেছে নির্মমতায়।

শিশুটি বুঝে গেছে
এর জন্যই লড়তে হবে
শেষ লড়াইটি!
শনাক্ত করতে চাইছে
কে সেই শত্রুটি।

তাই কি চোখে এতো বিস্ময়
ভয়, না প্রত‍্যয়!
সে বুঝে গেছে সব
জীবনের শ্রেষ্ঠ কলরব—
লড়াই! লড়াই! লড়াই!

রোটি মাঙতা, রোটি চাই!