অবতক খবর,২২ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:- আইন সকলের জন্যই সমান! সেক্ষেত্রে বোধ হয় মানবিকতার কোন দাম থাকে না। থাকে না ভালো খারাপের বিচার।
ব্যক্তি স্বার্থে না হলেও স্বাধীনতার আগে থেকে অনাথ শিশুদের পরিষেবা দিয়ে আসা নদীয়ার চাকদহ ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ভাগীরথী শিল্পাশ্রম ভেঙে গুঁড়িয়ে গেলো আজ বুলডোজারের সামনে।
বুলডোজার দিয়ে বেআইনিভাবে দখল করা ভাগীরথী শিল্পাশ্রমের সরকারি সম্পত্তি উচ্ছেদ করলো চাকদহ ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন।ঘটনার প্রকাশ, স্বপ্ন দেখেছিলেন অনাথ আশ্রমের, সেইমতো ১৯৪২ সালের ভাগীরথীর কূলে এই অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন কর্ণেল দ্বীজেন্দ্র লাল ভট্টাচার্য্য । প্রথমে এই আশ্রমটি ছেলেদের ছিল, পরবর্তীকালে মেয়েদের হস্তক্ষেপে আসে। এই অনাথ আশ্রমের মেয়েরা এই আশ্রমে লেখাপড়া করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাঁত ও বেতের কাজ এবং খেশ, টাইপ সহ হাতের কাজ শিখে সাবলম্বী হত। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেতো এই আশ্রমের মেয়েরা এব আশ্রম। সেই টাকায় এই অনাথ আশ্রমটি চলতো। অনেক বাধা-বিপত্তি এবং আন্দোলনের ঝড় বয়ে গেছে এই আশ্রমের ওপর দিয়ে। এই আশ্রমের যারা বোর্ড কমিটি ছিল, তারা কোম্পানি লিমিটেড করে এই জমিগুলো হাত বদল করে দিল এলাকার কিছু প্রোমোটারের কাছে। ২০১৬ সালে জুন মাসে একটি বড় বাস দেখতে পান স্থানীয়রা। সেই বাসে করে অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের অন্যতো স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এর ফলে মাথার উপর থেকে ছাদ চলে যাচ্ছে দেখে। এলাকার মানুষ চাকদহ, মদনপুর রাজ্য সড়ক ভাগীরথী শিল্পাশ্রমের সামনে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করেন অনাথ শিশুদের নিয়ে।
সেই সময় এসডিও, পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থানে এসে তাদের আশ্বস্ত করেন, এবং এই অবরোধ তুলে অনাথ শিশুদের স্থানান্তরিত করার সাহায্য করেছিলেন। কালের কবলে ১২ বছর পরে সেই জমি আজ বুলডোজার দিয়ে গুরিয়ে উচ্ছেদ করল বর্তমান ব্লক আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে।