অনুপ কুমার মন্ডল, অবতক খবর, নদীয়া: কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি, সিএএ নিয়ে যখন মানুষ নিজের কাগজী নথি জোগাড় করতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় চাকদা থানার মদনপুর, আলাইপুর সহ চাকদহ সীমান্তবর্তী এলাকায় বেআইনিভাবে আধার কার্ড তৈরি কাজ চালাচ্ছিল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে , সজল পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি তার বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরেই দরজা বন্ধ করে মানুষকে অন্ধকারে রেখে এই কাজ চালাতো।চাকদহ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাকদহ থানার দুবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউলি আশ্রমপাড়া থেকে বমাল সমেত ধরে ফেলে অভিযুক্তদের। জাল আধার কার্ড করার অপরাধে শিমুরালি মধ্যপাড়া তেমাথা থেকে দেবী ঘোষ কে আটক করে। অন্যদিকে নিউলি আশ্রমপাড়া থেকে সজল বিশ্বাস, একতারপুর থেকে বিশাল বিশ্বাস এবং জগন্নাথপুর থেকে বাপি বালাকে আটক করে চাকদহ থানার পুলিশ।সূত্র মারফৎ এও জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় বহু মানুষ এসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরি করতো ।সারাদিনে ৬০ থেকে ৭০ টি এন্ডরোল করে গত দু’বছর ধরে এই অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল।
পুলিশের কাছে কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ আসছিল। সেই মতো নিউলি আশ্রম পাড়ার প্রদীপ কুমার দাস তিনি এই বেআইনী আধার কার্ডের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করে চাকদহ থানায় । সেইমতো পুলিশের তদন্তে পুলিশের জালে ধরা পড়ে এই চারজন। প্রদীপ বাবুর লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে চাকদা থানার আইসি জ্যোতির্ময় বসু ৪২০, ৪৫৭, ৪৬৮, ৪৭১ এবং 34 ধারা দিয়ে কল্যাণী মহকুমা আদালতে পাঠান। মহকুমা আদালতে মহামান্য বিচারপতি আগামী ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।