অবতক খবর ২৭ফেব্রুয়ারিঃশুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তন উৎসবে ভাষণ দেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেশপ্রেমে আপ্লুত আমাদের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি তার সমাবর্তনীয় ভাষণে বলেন, শিক্ষা হল জীবনের পরিবর্তন সূচক। সাধারণ মানুষ জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কিভাবে সমস্যার সমাধান করেন সেই সব দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত ছাত্রদের। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলতে হবে ছাত্রদের। এছাড়া তিনি বলেন, জীবন আর প্রকৃতি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বলেন, তুমি কখনো সংঘর্ষে যাবে না আর কখন যাবে, কি করা উচিত, কি করা উচিত নয় সে সিদ্ধান্ত তোমাকে নিজেকেই নিতে হবে।
তিনি কৃষকপ্রেমী। বর্ধমানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কৃষকেরাই আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার দানাপানি উৎপন্ন করে। আমাদের জীবনে তাদের গুরুত্ব রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন রাজ্যপাল ভবনের অদূরে ৭০০ দিনের উপর অতিক্রান্ত শিক্ষার্থীরা ছাত্র-ছাত্রীরা কেন বসে রয়েছে, কেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার পরিচালিত এই রাজ্য সরকার
তাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত করেছেন সেই সংগ্রামরত ছাত্রদের মুখোমুখি তিনি হননি। অথচ তিনি শিক্ষা ও ছাত্রদের সম্পর্কে একটি জ্ঞানগর্ভ ভাষণ দিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে।
এই অনুষ্ঠানে দুবার জাতীয় সংগীত বাজানো হয় একবার অনুষ্ঠান শুরুতে দ্বিতীয়বার রাজ্যপাল চলে যাবার পর তারপর আবার সমাবর্তনীয় ডিলিট প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। ডিলিট পেয়েছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী।