অবতক খবর,৫ অক্টোবর: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সত্যনগরে পেশায় টোটো চালক রাজীব মন্ডল, তার ১৪ মাসের শিশু রুদ্র মন্ডল চিপস খাওয়ার জন্য কান্না জুড়ে বসে। তার কান্না শুনে তার ঠাকুমা পাশের একটি দোকান থেকে চিপস কিনে দেন। সেই চিপসের প্যাকেটের ভিতরে ছিলো খেলনা বন্দুক। সেই সঙ্গে ছিল ছোট্ট ছোট্ট ছটি প্লাস্টিকের গুলি। পরিবারের অসাবধানতাবশত ঐ শিশুটি পাঁচটি গুলি খেয়ে ফেলে এবং শেষের গুলিটি খাওয়ার পর সেটি গলায় আটকে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কান্নাকাটি শুরু করে শিশুটি। অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুটির ঠাকুমা গলায় আঙুল দিয়ে ওই গুলিটি বের করে আনেন।
কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারেন যে,বাকি পাঁচটি গুলি শিশুটির পেটে চলে গিয়েছে, তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে তারা কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সমস্ত বিষয় জানার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয় শিশুর মলের সঙ্গে গুলি বের হচ্ছে কিনা, সেই দিকে নজর দিতে।
কিন্তু সেইরকম কিছু না ঘটায় শিশুটির পরিবার আজ ভোরবেলা ফের শিশুটিকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পেটের এক্সরে করা হয় এবং দেখা যায় ওই পাঁচটি গুলি শিশুটির পাকস্থলীতে রয়েছে। এক মুহূর্ত দেরি না করে চিকিৎসকরা শিশুটিকে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনা ঘটায় শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সত্যনগর গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত কিভাবে শিশুটি সুস্থ হয় সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন গ্রামবাসী।