অবতক খবর,২৯ জুলাই: লোকসভা ভোটে দলের হয়ে কাজ না করে বিজেপিকে সাহায্য করেছেন যারা এমনই ‘মিরজাফরদের’ চিহ্নিত করে একাধিক নাম জমা পড়ছে তৃণমূল ভবনে। এলাকা ভিত্তিক কোন নেতা কেমন কাজ করেছেন, তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই যাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল মারফত।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে,আর কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে। আর এই সম্ভাবনাটি আরও দৃঢ় হয়েছে ২১ জুলাইয়ের তৃণমূলের সমাবেশ থেকে। উক্ত সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়াভাবে ধমকান কাউন্সিলর থেকে চেয়ারম্যান সহ অনেককেই।
পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে, আগামী তিনমাসের মধ্যেই সবকিছু দেখতে পাবেন। ফলত এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তৃণমূল একটা বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে।
সেই সূত্র ধরেই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীরা রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে।
কোন বিধানসভায় কোন নেতা লোকসভা ভোটে কাজ করেননি,বসেছিলেন,দলের বিরোধীতা করেছেন, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন,তাঁদের নাম রিপোর্টে উল্লেখ আছে বলেই জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে।
মূলত যেখানে তৃণমূল যেখানে পিছিয়ে পড়েছে, সেখানেই ‘মিরজাফর’ চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। রিপোর্টে যাদের নাম রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে গোপনে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুধু তাই নয়,জেলাস্তরের সাংগঠনিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বেকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়কও।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, দলে থেকে দল বিরোধী কাজ করা যাবে না। বাংলায় যেখানে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে একযোগে লড়াই চলছে, সেখানে ওই তিন দলের কারও সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।