অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::    চোপড়া কাণ্ডে উত্তেজনার পারদ স্তিমিত হওয়ার আগেই ফের রহস্যজনকভাবে একই জায়গায় ওই কিশোরী হত্যাকাণ্ডের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তর মৃতদেহ উদ্ধার হলো। এই ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উঠছে ।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ইসলামপুরে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ,কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। তারা এদিন চোপড়া যেতে চাইলেও ইসলামপুরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বলা হয় সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অবস্থানে বসে দলীয় কার্যালয়ে তিন সাংসদ সহ অন্যান্য দলীয় নেতারা।

উল্লেখ্য, রবিবার চতুরাগছ এলাকায় যেখানে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গাতেই রহস্যজনকভাবে একটি জলাশয়ে সেই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত স্থানীয় সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াগছ এলাকার ফিরোজ আলীর মৃতদেহ ভেসে ওঠে। মাত্র চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে পরপর দুটি খুনের ঘটনায় চরমভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ফিরোজ আলীর এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে প্রথমে চতুরাগছে এবং পরে ভৈসপিটা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামপুর পুলিশ জেলা থেকে পাঠানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

কোচবিহার থেকে ইসলামপুরে এসে দলের অন্যতম প্রতিনিধি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক জানান, যেভাবে রাজনৈতিক ভাবে রাজবংশীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে তা নির্মম। হত্যা করে অন্য রূপ দেয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিধায়করাও নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না। পুলিশ সত্যকে লুকানোর চেষ্টা করছে। তারা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এমনকি প্রশাসন দল দাসে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তারা তিনজন সাংসদ এসেছেন কিন্তু পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তারা সেখানে গেলে নাকি শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।তারা যাচ্ছেন না। কিন্তু সেখানে যদি কোন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা উপস্থিত হন তবে তারাও সেখানে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে গোটা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা অতিক্রান্ত। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করে এখন পুলিশ জানাচ্ছে যে তার মৃতদেহ পাওয়া গেল?পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।