আজ কুসংস্কার বিরোধী মানবাধিকার কর্মী দাভোলকারের জন্মদিন। দাভোলকারকে খুন করেছিল আততায়ী ঘাতক।
২৭শে জুন,২০১৯ কর্ণাটক পুলিশের কাছে ঘাতক দিয়েছে জবানবন্দি চোদ্দ পাতার। কি হবে আমি জানিনা। তবে আমি ভীতুর ডিম। ভয় পাচ্ছি। আখলাখের হত্যা আমি দেখেছি। তবরেজ আনসারিকে খুন আমি দেখেছি। আমি শিক্ষক শাহরুখ হালদারকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দিতে দেখেছি। আমি শুনতে পাচ্ছি ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি।আসুন,দাভোলকর হত্যায় মূল অভিযুক্ত শরদ কালাসকর-এর স্বীকারোক্তি,শুনি
চৌদ্দ পাতার জবানবন্দী
তমাল সাহা
দম আছে খুনির—
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে
গুটিয়ে জামার আস্তিন—দুটি হাতা
জবানবন্দি দিয়েছে সে চৌদ্দ পাতা।
সে বেপরোয়া সাহসী ঘাতক,
হত্যার অনর্গল বিবরণে হতবাক আদালত।
সুপারি কিলার সে—
উগ্ৰ মৌলবাদী চেতনার বাহক
ধর্মই মহান, সে একটি বিশেষ ধর্মের ধারক।
সে চেনে শুধু বিরোধী লাশ,
রক্তপাত… তার জীবনের ধারাপাত।
গুলির ধর্ম ভেদ করা,করেছে লক্ষ্য ভেদ।
ম্যায় মাঙতা হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান,
সবকুছ লিখলবা গীতা মহাভারত বেদ।
এরপর গোবিন্দ পানসারে
তারপর….. গৌরী লঙ্কেশ।
নৃশংসতা আরো লেখা হবে
এখানেই নয়তো শেষ।
যুগে যুগে আমিই ফিরে আসি—
আমিই ঘাতক, আমিই খুনি।
রাত্রির অন্ধকারে
পাখসাটে ফ্যাসিবাদ নেমে আসে—
ভেসে ওঠে আরো নিহত মুখ,
আমি অপেক্ষায় দিন গুনি।