১৩ই মে ছিল থার্ড থিয়েটারের জনক বাদল সরকারের মৃত্যুদিন। মানুষ ও তার জীবনকে তিনি সরাসরি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মুক্ত অঙ্গনে। আজ তাঁকে নিয়ে লিখি…
ছাঁচভাঙা মানুষ ছকভাঙা নাটক
তমাল সাহা
যে মানুষটি ছক ভাঙতে চেয়েছিল,
সে মানুষটির নাম কি?
নাটকে থাকবে মানুষ।
মানুষের মধ্যে নাটক।
মানুষ ঘিরে থাকবে নাটকের মানুষকে।
মানুষ আর নাটক এক হয়ে যাবে–একথাই বলতে চেয়েছিল মানুষটি।
নাটক হাঁটবে, ফিরবে, চলবে।
নাটকই যাবে মানুষের কাছে।
নাটকের কাজই মানুষের কাছে যাওয়া– একথাই বলতে চেয়েছিল মানুষটি।
নাটকের বিষয় হবে মানুষ–
মানুষের জীবন– শ্রম, সংগ্রাম এবং উত্তরণ।
মানুষ! বিশাল তার কর্মকান্ডের ব্যাপ্তি।
তাকে কি প্রসেনিয়ামের গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা যায়?
ছাঁচভাঙা মানুষটি ছকভাঙা নাটক নিয়ে
আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
ফার্স্ট পার্সন, সেকেন্ড পার্সন, থার্ড পার্সন।
ফার্স্ট পার্সন-সেকেন্ড পার্সন নয়,
থার্ড পার্সনই নাক গলাবে নাটকে।
কারণ এটা তার সামাজিক দায়।
থার্ড পার্সনই বলবে আসল কথা,
নেমে আসবে মুক্ত অঙ্গনের হাওয়ায়।
থার্ড থিয়েটার হবে মানুষের মাঝখানে। সোচ্চারে সরাসরি কথা হবে এইখানে।
ছাঁচভাঙা মানুষটি লড়ে গেছে
বঙ্গোপসাগরীয় ময়দানে।
পথিকবর!
নটসেনাদের সামনে এসে দাঁড়ান।
দেখুন—
নাটককে অস্ত্র ক’রে অন্য এক যুদ্ধাভিযান।