লকডাউনকে পুরোপুরি সমর্থন করুন,
বেশি কথা নয় বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করুন এবং
নিজেকে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে রাখুন
অবতক খবর,২২ মার্চ:: আগামী দু সপ্তাহ ভারতবর্ষের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন এবং সংকটের সময়। এটি খেয়াল রাখুন। এই দুসপ্তাহকে ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম করুন।
অনেক মন্দির-মসজিদ হয়েছে, অনেক হিন্দু-মুসলিম হয়েছে, অনেক সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি হয়েছে। এখন এসব ছাড়ুন এখন মানুষকে বাঁচান। মানুষের পাশে দাঁড়ান। এটাকেই চরম ব্রত করুন।
আগামী দুই সপ্তাহ ভারতের পক্ষে খুবই সংকটজনক অবস্থা। ভারতবর্ষে অনেক মন্দির-মসজিদ হয়েছে। ভারতবর্ষের পক্ষে কেন সংকটজনক সেটি শুনুন। ১৩০-১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষ। এই ভাইরাসের চেন আপনাকে যে করেই হোক ভেঙে দিতে হবে। আপনি যদি ভাইরাসের চেনটি কোনমতে ভেঙে দিতে পারেন, তাহলে পরে ভারতবর্ষে মুক্তি পাবে। এইজন্যই অনতিবিলম্বে ইমারজেন্সি জারি করে লকডাউন বা শাটডাউন করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণাটি করেছিলেন, রবিবার না দেখে পরের দিনই তাঁর উচিত ছিল লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ার।
ভারতবর্ষ ক্রমাগত বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ভারতবর্ষ ১৩০-১৪০ কোটির দেশ আগেও বলেছি। কিন্তু সেই অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকাঠামো বা হাসপাতাল নেই। অনেক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গল্প হয়েছে। সেই গল্প ছাড়ুন। এখন মানুষকে রক্ষা করাই আপনার দায়িত্ব। কারণ এতো মানুষকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসায় নিরাময় করা যাবে না। কারণ এত মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার মতন ভারতবর্ষে পরিকাঠামো তৈরিই হয়নি এবং এত ডাক্তারও তৈরি হয়নি।
যদি রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে তবে ডাক্তারদেরও ক্ষমতা নেই তা রোধ করার। তারা তাদের প্রাণ দিয়েও রোগীদের রক্ষা করতে পারবেন না। কারণ ডাক্তারের সংখ্যা খুবই সীমিত।
আপনি যে পরিমাণে মন্দির মসজিদের জন্য লড়েছেন সেই অনুপাতে আপনি হাসপাতালের জন্য লড়েননি, সুস্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য লড়েননি। যে সমস্ত নেতা-নেত্রী দাদারা আজকে বলছেন সকলের পাশে আমরা আছি। কিন্তু তারা চিকিৎসার জন্য নিজেরা বিদেশে গিয়েছেন, কিন্তু নিজের অঞ্চলের, নিজের দেশের, নিজের রাজ্যের হাসপাতালকে যথাযথ করে গড়ে তুলতে পারেননি।
সুতরাং আপনার দায়িত্ব আপনাকে নিজেকেই নিতে হবে। আপনাকে নিজেকে মানুষের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। যেটি খুবই কষ্টকর বেদনাদায়ক। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ থাকবে না তা তো হতে পারে না। কিন্তু দেশের মানুষেরই যখন জীবন সংশয়, সমগ্র মানব জাতিই যখন ধ্বংসের মুখে তখন আপনাকে সেই জাতিকে রক্ষা করতে গেলে পরে আপনাকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় নেই।
আপনি নিজেকেই সম্পূর্ণভাবে আইসোলেট করুন। ওই ইংরেজি এক কথা বেরিয়েছে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া। কোয়ান্টারাইজেশন, তাতে আপনি সামিল হন এবং আগামীদিনে সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছেন সেটিকে মানতে চেষ্টা করুন।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনুন। কারণ আপনি যদি মনে করেন যে সবটুকুই আপনি কিনে নেবেন, তাহলে যে অন্যরা রয়েছে, যে দরিদ্র মানুষেরা রয়েছে, নিপীড়িত মানুষেরা রয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা রয়েছে তারা কিনতে পারবেন না। সুতরাং আপনার নিজেকেই আজকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন রয়েছে এবং সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। আপনি মানুষের পাশে থাকবেন কিনা।
আজ সব রাজনীতি ভুলে যান, ভুলে যান হিন্দু-মুসলিম সমস্ত কিছু। শুধু ভাবুন মানুষ আর মানুষ। মানুষ ছাড়া কিছু নেই। আর আপনার সঙ্গে রয়েছে বিজ্ঞান।