অবতক খবর,১০ মার্চ: বাংলা সংবাদপত্রের জনক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। তিনি আমাদের ভূমিপুত্র কারণ তিনি কাঞ্চন পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সংবাদপত্র নির্মাণ প্রকাশ বাংলার সংবাদ ও সাহিত্য জগতে একটি ইতিহাস। অত্যন্ত শ্রম অধ্যাবসায় দিয়ে তিনি এই সংবাদ প্রভাকর তৈরি করেছিলেন সামাজিক দায় বদ্ধতা এবং বাংলা সাহিত্যকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে।

বাংলা সাহিত্যের কারিগর বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয় কুমার দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র প্রমুখদের তিনি হাতে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর ২১০তম জন্মদিন পালিত হল বর্তমানে কল্যানীর অন্তর্গত কাঞ্চনপল্লী জন্মভিটেতে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কাঁচরাপাড়া ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদ।

এইদিনের অনুষ্ঠান অত্যন্ত সৌন্দর্যমন্ডিত ছিল তো বটেই, এখানে যে সমস্ত সুধীজনেরা তাদের বক্তব্য পেশ করছেন তা রীতিমতো অনুসন্ধিৎসু ও জ্ঞানগর্ভ এবং তথ্য সমৃদ্ধ।

এদিনের অনুষ্ঠানটি হয়েছে যে অঞ্চলে সেই অঞ্চলটি এখন পশু চিকিৎসা অনুসন্ধান কেন্দ্র নামে পরিচিত। তারই অন্তর্গত অঞ্চলে ঈশ্বর গুপ্তের জন্মভিটেটির অবস্থান।

এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারি সংস্থাটির সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য এবং তারা নিজেরা বিজ্ঞান গবেষক হলেও সাহিত্য বিষয়ে যে তারা বিশেষ অবগত এ দিনের ঘটনা তা প্রমাণ করে।

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন এই সংস্থার ইনচার্জ পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়,দেব চক্রবর্তী শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,কুমারেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, রাসবিহারী ভড়,অভিষেক অধিকারী, তিমির অধিকারী, রতন দত্ত প্রমুখ।

এরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সুন্দর বক্তব্য রাখেন। অত্যন্ত ঋদ্ধ বক্তব্য রাখেন অভিষেক অধিকারী।বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক তমাল সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের সম্পাদক রণজয় মালাকার।

কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দেন আগামী বছর এই স্থানটিকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন এবং যাতে একটি পাঠচক্র এবং সাহিত্য পাঠ অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন একটি ছাউনির ব্যবস্থা করে দেবেন। অন্যদিকে এখানে যে ঈশ্বর গুপ্তের ভিটে রয়েছে সেটি সাধারণকে জ্ঞাত করার জন্য এই সংস্থার গেটের সামনে ঈশ্বরগুপ্ত সম্পর্কিত একটি স্মারক তারা রাখবেন এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা কথা বলবেন বলে জানান।

এদিন সন্ধ্যায় ঈশ্বর গুপ্ত সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদ সম্পাদক রণজয় মালাকারের আবাসে।