হায় ভারতবর্ষ! জরায়ু কেটে ফেলছে আমার ঋতুমতী মায়েরা। কেন?
জরায়ু উচ্ছেদের কবিতা
তমাল সাহা
শোনো হে মানুষ ভাই!
কে জানে আমি কবিতা লিখি, না গান গাই?
ওই দেখো আখের ক্ষেত,
গাছগুলি দাঁড়িয়ে আছে
শরীরে বয়ে যায় রসের স্রোত।
আমি ভাবি গাছগুলি কি নারী
সব গাছগুলি আমার হোক!
ওই দেখো কামিন মেয়েরা
ঋতুমতী হবে না আর!
কেটে ফেলছে জরায়ু হাজার হাজার।
এমনিতেই নিম্ন আয়,
ঋতুচক্রের কারণে দিনমজুরি কেটে নেয় মালিক গরহাজিরায়।
দিন আনি দিন খাই মেয়ে তুই!
তোদের কি দরকার এই সমাজে?
জানিস তো পেট লাগে দুটি কাজে
খিদে মেটাতে আর গর্ভাধানে।
ভাতই জোটে না, কি করবি তুই ভরা যৌবনে?
প্রেম! বর্ষা- বসন্ত?
ছেড়ে যায় তোদের হন্ত-দন্ত।
রজঃস্বলা তুই, পেটের নিচে কষ্ট
রুজি যাবে কমে,শ্রমদিবস নষ্ট!
জরায়ু ফ্যাল কেটে—
সব সমস্যার সমাধান স্পষ্ট!!
কত দিন আর নিম্ন আয়ের আয়ু!
কেটে ফ্যাল, ফ্যাল কেটে
কি হবে রেখে আর জরায়ু?
পেটের ভাত না জরায়ু কোনটা বেশি দামি?
তুমি কি জানো, আমি কি জানি?
মেয়ে আমার গর্ভবতী হবে না আর,
আদর সোহাগ করবে না আগামী!