অবতক খবর,১ অক্টোবর,বাঁকুড়াঃ- জল যন্ত্রণায় বাড়ি পৌঁছাতে পারছেন না অসহায় এক গৃহবধূ অন্যদিকে সমগ্র গ্রাম জলের তলায় আশ্রয় দিয়েছে গ্রামীণ সড়কে এ ছবি পাত্রসায়ের ব্লকের।

সপ্তাহ খানেক আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন নিমাই নগরের মিঠু দেবী। হঠাৎ করেই শুনতে পান শালী নদীর ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি ঘর ডুবে গেছে। এরপর সকাল হতেই মেয়ের বাড়ি থেকে রওনা দেন নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে, কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখেই রাস্তার ওপর এক গলা জল কিভাবে যাবে বাড়িতে ভেবেই কুল পাচ্ছিনা মিঠু দেবী। বাড়িতে রয়েছে স্বামী বৃদ্ধা শাশুড়ি তারা কিভাবে আছে তাও জানতে পারছে না তিনি। লোক মুখে শুনেছেন তার বাড়ি নাকি ভেঙ্গে গেছে জলের তোড়ে। একরাশ চিন্তা আতঙ্ক নিয়ে রাস্তার মধ্যেই বসে আছেন মিঠু দেবী।

শুধু মিঠু দেবী বা তার গ্রাম একা নয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের সোনামুখী ও ইন্দাস ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অসংখ্য গ্রামের অসংখ্য মানুষ। বহুগ্রাম রয়েছে এখনো পর্যন্ত তাদেরকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিঘার পর দীঘা চাষের জমি এখন জলের তলায় জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসন তৎপর উদ্ধারকার্যে। পাত্রসায়ের ব্লক এর নারায়নপুর, হামিরপুর, বেলুট রসুলপুর অঞ্চল সোনামুখী ব্লক এর রাধামোহনপুর সহ ইন্দাস ব্লকের একাধিক গ্রাম প্লাবিত। হামির পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোশালপুর হাই স্কুলের শ্রেণিকক্ষে এক হাঁটু জলের তলায় , গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি মানুষজন এখন পাশাপাশি বাড়ির ছাদের উপরে সরকারি সাহায্য তো দূর অস্ত এখনো পর্যন্ত কেউ পৌঁছাতে পারেনি গ্রামে। পাশাপাশি নেত্রখণ্ড এর পাশে বাগানপাড়া গ্রামটি সম্পূর্ণ জলের তলায় মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে পাশে থাকা গ্রামীণ সড়কের উপর।