অবতক খবর,৫ জুন: দিনের আলোয় ছায়াশূন্য হয়ে গেল শহর কলকাতা। কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও, নিজের ছায়াও দেখা গেল না।রবিবার জিরো শ্যাডো ডে অর্থাৎ ছায়াশূন্য় দিবস। তাতেই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। মাথার উপর গনগনে সূর্য থাকা সত্ত্বেও, বাইরে বেরিয়ে নিজের ছায়াও দেখতে পেলেন না তাঁরা।পৃথিবীতে কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে বসবাসকারী মানুষ, বছরে দু’ বার জিরো শ্যাডো ডে উপভোগ করতে পারেন।
এই ছায়াশূন্য দিবসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দিনে ঠিক দুপুরবেলা সূর্য একেবারে মাথার ওপর আসে কয়েক মুহূর্তের জন্য।এর ফলে কোনও বস্তু বা মানুষের ছায়া পড়লেও, তা দেখা যায় না। কারণ সূর্যের অবস্থানের নিরিখে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছায়া উল্লম্ব ভাবে তাঁরই পায়ে নীচে হারিয়ে যায়।আজ ৫ জুন এই জিরো শ্যাডো ডে বা ছায়াশূন্য দিবস।
রবিবার বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে কয়েক মুহূর্তের জন্য উধাও হয়ে গেল ছায়া।আবার জুলাই মাসের ৭ তারিখে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন বাংলার মানুষ। সেদিনও দুপুরবেলা কিছুক্ষণের জন্য কোনও বস্তু বা ব্যক্তির ছায়া উধাও হয়ে যাবে।
পৃথিবী যে অক্ষের ওপর ভর করে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে ও যে অক্ষের উপর নিজের চারদিকে ২৪ ঘণ্টায় পাক খাচ্ছে, এই দুটি অক্ষ পরস্পরের থেকে সাড়ে ২৩ ডিগ্রি হেলে রয়েছে।২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মকরক্রান্তি রেখা থেকে আস্তে আস্তে প্রতিদিন সূর্য ঠিক মাথার ওপর আসে দুপুরবেলা। একে সূর্যের উত্তরায়ণ বলে।২০ বা ২১ জুন থেকে শুরু হয় সূর্যের দক্ষিণায়ন। সেইদিন থেকে কর্কটক্রান্তি রেখার দক্ষিণ দিকে ধীরে ধীরে সূর্য একেকটি জায়গায় দুপুরবেলা মাথার উপর আসে কিছুক্ষণের জন্য। ওই দুই দিনকেই ছায়াশূন্য দিবস বলে।