নেতাতে ভরে গেছে দেশ। নেতারা মরে গেলেই মনীষী হয়ে যান।আর রচনা বইয়ে উঠে যায় তাদের নাম। এবার শুনুন তাদের জীবন চরিত

জীবন চরিত পাঠ
তমাল সাহা

প্রত্যেক রচনা বইতে খুঁজে পাবেন এই প্রবন্ধটি—
জীবন চরিত পাঠের উপযোগিতা।
কয়েক বার মাধ‍্যমিকেও এসে
গিয়েছে রচনাটি।
এসব লিখে অনেকে সাহিত্য একাডেমিও পেয়ে গিয়েছেন।

জীবন চরিত গ্ৰন্থে ভরে গেছে লাইব্রেরি।
জীবন চরিত কারা লেখে,কেন লেখে
কে জানে?
কোনো জীবন চরিত পাঠের পর
অনুরূপ জীবনের দ্বিতীয় মানুষ
এখনও খুঁজে পাওয়া যায় নি এবং
পাওয়াও যাবে না কোনোদিন।
কারণ দুটো মানুষ কখনোই
এক হতে পারে না।
আর এত জীবন চরিত পাঠ করা যায় নাকি?

জীবন চরিত পাঠ বিষয়টাই গোলমেলে।
আপনি তো মাত্র একজন মানুষ।
এত মনীষী,এত নেতা সবাই তো মহান।
আপনি কাকে আদর্শ করবেন?
আপনি নেতাজি হলে গান্ধিজি হতে পারবেন না, গান্ধীজি হলে ক্ষুদিরাম হতে পারবেন না,
ক্ষুদিরাম হলে সূর্য সেন হতে পারবেন না।
আর আপনি কেন কেউই জানে না, যে মানুষটি প্রথম মনীষী বা নেতা হয়েছিলেন, তিনি কোন জীবন চরিত পাঠ করেছিলেন।
কারণ তার আগে তো কোনো নেতা বা মনীষী জন্মান নি।

আপনি তো ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রনেতা বানিয়েছেন।
এই সময়ে আপনি কি মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর জীবন চরিত পাঠের উপযোগিতা খুঁজবেন?

পৃথিবীতে এই প্রথম দুজন মন্ত্রী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে চলেছেন—
এমন ধর্মবিশারদ মন্ত্রী
বিশ্ব এর আগে কখনো উপহার পায়নি।

একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী,
অন্যজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
একজন অযোধ্যায় রাম মন্দির
অন্যজন দীঘায় জগন্নাথ মন্দির
নির্মাণ করতে চলেছেন।
একটি মন্দিরে উদোম গায়ে
ঘুরেবেড়ানো রামচন্দ্রের মূর্তি
বসানো হবে
দীঘায় বসানো হবে হাতকাটা নিষ্কর্মা জগন্নাথের মূর্তি।

ইতিমধ্যে এদের জীবন চরিত রচনা শুরু হয়ে গিয়েছে এবং
বহু লাইব্রেরি এই জীবনীগ্ৰন্থদুটির
আগাম অর্ডার দিয়ে রেখেছেন।

আমার গর্ব—
এই দুজন মন্ত্রীকে ভারতমাতা
গর্ভে ধারণ করেছেন।