অবতক খবর,২০ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলে ফিরে আসার পর শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে শহরময় বিভিন্ন আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কারণ এই পর্বে তিনি সেভাবে জনসমক্ষে আসেননি, মাঠে-ময়দানে নামেননি, মিটিং বা বিভিন্ন আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তাঁর মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল। জেলা মহলে তাঁর যে একটি প্রাধান্য রয়েছে এটা অনেকেই বুঝেছিলেন।
পৌর নির্বাচনী পরিস্থিতিতে তিনি সেভাবে প্রচারে নামেননি বিভিন্ন অঞ্চলে এবং নেতাজি সুভাষ রোডে পার্টির দপ্তরেও সেভাবে তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু কলেজমোড় সংলগ্ন অঞ্চলে যে কেন্দ্রীয় প্রচার সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল তাতে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক,শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় তিনি হাজির হয়ে যান।
এই দৃশ্য দেখে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেই আলোড়ন ওঠে। কারণ তিনি এতদিন কোনো সভায় তৃণমূলের প্রচারে, কোন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না। হঠাৎ কেন তাঁর এই আগমন? জেলা নেতা পার্থ ভৌমিক তাঁকে সাদরে মঞ্চে ডেকে নেন এবং মঞ্চে স্থাপিত আসনে তিনি বর্তমান বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর পাশেই বসেন। ফলে এই দৃশ্য দেখার পর অনেকক্ষণ ধরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়,ফিসফাস কথা হতে থাকে। ফলত,এই অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা বুঝে যায় যে,রাজ্যের এই জেলার উচ্চতর মহলে নিশ্চিতভাবে শুভ্রাংশু রায়ের প্রাধান্য রয়েছে এবং বিশেষ করে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য রয়েছে।
এদিকে অঞ্চলে আরো গুজব যে পার্থ ভৌমিকের প্রাধান্যেই অর্থাৎ তাঁর হস্তক্ষেপেই ৬ নং ওয়ার্ড থেকে শুভ্রাংশু রায় মনোনয়ন পেয়েছেন। কারণ তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে তিনি যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করেছেন, তৃণমূল কর্মীদের শারীরিক নিগ্রহে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং যেভাবে উচ্চতম নেতৃত্বকে গালিগালাজ করেছেন,তাতে তাঁর মনোনয়ন পাওয়া উচিত ছিল না। যদি উপরিস্তরের হাত না থাকে তাহলে এমন দলবদলে সুযোগসন্ধানী নেতা মনোয়নই পেতেন না।