অবতক খবর,২১ এপ্রিল,রানীগঞ্জ: জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। খুনের অভিযোগ পরিবারের। রানীগঞ্জ থানার অন্তর্গত চলবলপুর এলাকার সোলার প্লান্ট প্রকল্পের পাশে পরিতক্ত খাদান থেকে দেহ উদ্ধার করে নিমচা ফাঁড়ির পুলিশ।

মৃত দুজনের নাম যথাক্রমে বিপিন ভূঁইয়া বয়স 42 বছর এবং রাকেশ কুমার বয়স 21 বছর। দুজনে সম্পর্কে শশুর ও জামাই। রানীগঞ্জ এর জেমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুই নম্বর বালি ব্যাংকার এলাকার বাসিন্দা।
আজ সকালে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পায়। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হসপিটাল পাঠিয়েছে।

মৃত বিপিন ভূঁইয়ার স্ত্রী মিনা ভূঁইয়া জানান গত পরশুদিন থেকে তার স্বামী ও জামাই বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ গতকাল নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিসের কাজ করতো। দিনমজুর হিসেবে তার স্বামী কাজ করতেন এলাকায় কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো সে নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তারা। তবে দু জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত তারা বলে দাবি করেন তিনি।

অঙ্কিত ভূঁইয়া জানান তার বাবা বিপিন ভূঁইয়া কাজে গিয়েছিলে। গত পরশুদিন সন্ধ্যা নাগাদ জামাইবাবু রাজেশ কুমার প্রকৃতির ডাকে সাড়া পেয়ে বাইরে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুজনের দেহ বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত খাদানে পাওয়া গিয়েছে। তিনি জানান তার বাবা ও জামাই ওকে কেউ বা কারা হত্যা করে সেখানে ফেলে দিয়েছে।

মৃত রাকেশ কুমারের স্ত্রী মীরা বেবি জানান চলতি মাসের 4 তারিখে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ি এসেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য। গতকাল তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গত পরশুদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।

পরশুদিন মোবাইল বন্ধ থাকলেও গতকাল কিন্তু মোবাইল চালু ছিল কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। আজ সকালেও মোবাইল ফোন চালু ছিল। দেহ উদ্ধারের পর মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। তাদের সন্দেহ যে তার স্বামী ও কাকাকে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।