অবতক খবর,৮ সেপ্টেম্বরঃ টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভর সন্ধ্যায় এক নাবালিকাকে জোরপূর্বক টোটোতে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকার দাদা অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনা জেলার অশোকনগর থানার কাকফুল নয়া সমাজ এলাকায়। অশোকনগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

শিক্ষক দিবসের দিন টিউশন মাস্টারের বাড়ি থেকে টিউশন পরে বাড়ি ফেরার পথে অশোকনগর নয়াসমাজ এলাকায় এক নাবালিকার পথ আটকায় এক নাবালক এবং এক যুবক। এর পরে জোরপূর্বক নাবালিকাকে টোটো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি জঙ্গলে, সেখানে ওই দুই অভিযুক্ত নাবালিকার উপরে চালায় পাশবিক নির্যাতন চলে ধর্ষণ করার চেষ্টা।

এক প্রকার নাবালিকার উপস্থিত বুদ্ধিতেই সেখান থেকে কোন মতে পালাতে সক্ষম হয় নাবালিকা। রাতে বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি নাবালিকা তার পরিবারকে জানায়। এরপরে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ঐদিন গভীর রাতে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পক্সো মামলা শুরু হয়। সংযুক্ত দুই জনের মধ্যে এক নাবালককে গ্রেফতার করে সল্টলেক জুভেনাল কোর্টে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে বুধবার গোপন জবানমন্দির জন্য নাবালিকাকেও কোর্টে পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনায় টোটো চালক মূল অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকেই ফেরার। বাড়ির সামনে রাখা রয়েছে টোটোটি, ছেলে কোথায় বাবার কাছে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্তের বাবা জানিয়েছেন ছেলে নিখোঁজ আর কিছু জানিনা।

 

বুধবার এই গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে দিল্লিতে থাকা নাবালিকার দাদা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার নানা অভিযোগ তোলেন এবং বাকি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন।ইতি মধ্যেই এই ঘটনায় শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং সিপিএম একযোগ প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন।

বিরোধীদের এই কটাক্ষের কোন গুরুত্ব না দিয়ে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানিয়েছেন হ্যাঁ এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে প্রতি বছর পুজোর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। থানায় গাড়ির সংখ্যা কম তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি গাড়ি দেওয়া হবে যাতে পুজোর সময় পুলিশ প্রশাসন বাড়তি টহল দিতে পারেন। তবে অন্যায়কে অশোকনগর পৌরসভা বা প্রশাসন কোনো রকম সহযোগিতা করবে না।