অবতক খবর,১২ সেপ্টেম্বর: গতকাল টিটাগর দুই হাজারেরও বেশি বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যোগদান করেছেন তৃণমূলে। যারা এক সময়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর হয়ে কাজ করতেন অথবা অর্জুন ঘনিষ্ঠ ছিলেন তারাই গতকাল তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।

উক্ত যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, জগদলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

তাদের উপস্থিতিতে অর্জুন গড়ে এত বড় ভাঙ্গন সত্যিই অকল্পনীয়।

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই অঞ্চলে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন সমাজসেবী মণীশ শুক্লা। তার সহকর্মীরাও যোগ দিলেন তৃণমূলে।

তিনি অর্জুন সিং এবং মণীশ শুক্লার অত্যন্ত কাছের লোক ছিলেন রাজু সাউ। তাঁর নেতৃত্বেই ব্যারাকপুর এবং টিটাগর থেকে এত কর্মীরা গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল রাজু বাবু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই প্রকাশ্যে আনলেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি বলেন, আমরা মন থেকে বিজেপি দলটি কোনদিনই করিনি। কারণ ভয় দেখিয়ে আমাদের সেই দলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ‌ এমনকি আমাদের পরিবারকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল সেই কারণেই আমরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপি দলে ছিলাম।

অন্যদিকে রাজু সাউ বলেন,”এই বিজেপি দলে থাকার কারণেই আমাদের প্রিয় দাদা মণীশ শুক্লাকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্জুন এবং তাঁর পুত্র পবন সিং বিজেপিতে যখন যোগদান করলেন, সেই সময় ভাটপাড়া বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়েছিল। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল মণীশ শুক্লার। এই খবর অর্জুনের কানে পৌঁছতেই অর্জুন তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেন। যার কারণে মণীশ তৃণমূলে আসতে পারেনি এবং বিজেপিতে থেকে তাঁর প্রাণ চলে গেছে। আজ মণীশ বেঁচে থাকলে তৃণমূলেই থাকত এবং হয়তো কোন উচ্চ পদে আসীন হয়ে মানুষের সেবা করত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সে আজ আমাদের মধ্যে নেই।”