হক জাফর ইমাম :: অবতক খবর :: ২৬ ডিসেম্বর :: মালদহ :: টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে। আন্দোলনে নামার হুমকি মঙ্গলবাড়ী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের। টেন্ডার প্রক্রিয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে পুরাতন মালদা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
অভিযোগ অর্থের বিনিময়ে কয়েকজন ঠিকাদারি সংস্থাকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেয় কংগ্রেস প্রধান। শুধু তাই নয় গোপনে টেন্ডার সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান সুরেয়া বিবির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে এবারে বিডিও এবং জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশকিছু ঠিকাদারি সংস্থা। বৃহস্পতিবার এই মর্মে তারা পুরাতন মালদা বিডিও এবং জেলা শাসকের কাছে লিখিতভাবে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস বিজেপি জোট মঙ্গলবাড়ি অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে একটি ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে মোহাম্মদ ইসমাইল আলি জানান, অর্থের বিনিময়ে ছয় জনকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসী প্রধান। বাকি ১৪ জন ঠিকাদারি সংস্থাকে অবৈধ কাগজের অযুহাত দিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নিয়ম অনুযায়ী তারা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিল। অথচ তাদের বলা হচ্ছে বৈধ কাগজ নেই। আমরা চাই এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করা হোক। এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল না হলে আগামীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলবাড়ী অঞ্চল সভাপতি মোঃ শামসুল জানান, চলতি মাসের ২৩ শে ডিসেম্বর টেন্ডারের জন্য নোটিশ দেয় মঙ্গলবাড়ী অঞ্চল। ২৪ শে ডিসেম্বর ছিল স্কুটনি। সেখানে দেখা যায় নিজের স্বার্থে বিজেপি এবং কংগ্রেস পরিচালিত এই বোর্ড কয়েকজন ঠিকাদারি সংস্থাকে সুযোগ পাইয়ে দিয়ে বাকি ১৪ জন কে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অজুহাত দেওয়া হয় তাদের বৈধ কাগজ নেই এই জন্য তাদের টেন্ডারের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যেসকল স্থানীয় ঠিকাদার টেন্ডারের আবেদন করেছিলেন তাদের কাগজপত্র সমস্ত বৈধ। কংগ্রেসের প্রধান এবং বিজেপির উপপ্রধান মিলে অর্থের বিনিময়ে ছয়জনকে ৭০ লক্ষ টাকার টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শামসুল হক।
অন্যদিকে এই বিষয়ে প্রধান কিছু বলতে না চাইলেও বিজেপির উপপ্রধান গৌতম দাস জানান, যেসকল ঠিকাদারি সংস্থা অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন সমস্ত নিয়ম মেনে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এখানে অবৈধ কোন ব্যাপার নেই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির উপপ্রধান। এদিকে মৌখিকভাবে পুরাতন মালদা ব্লকের বিডিও জানান বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে পেয়েছেন তদন্ত করে দেখা হবে।