নিজস্বসংবাদদাতা ::অবতাক খবর ::মুম্বাই ::২০ই জানুয়ারী ::শুধু মেয়ে বলে দিনের পর দিন গঞ্জনা শুনতে হয়েছে তাঁকে। মেয়ের জন্ম দিয়েছেন বলে মাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে পাশে থাকার বদলে বাবাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল। নিজের জীবনে বাবার অস্তিত্বও মনে করতে পারেন না রেশমি।
চরম হতাশা, একাকিত্ব ঘিরে ফেলেচিল তাঁকে। বয়ঃসন্ধির সময়ে মেয়েটি নিয়ে ফেলেছিল এক চরম সিদ্ধান্ত। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল সে।১৩ তম বিগ বসে অংশ নিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই নিজের জীবনের সেই অন্ধকার সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন রেশমী।
সম্প্রতি ‘ছপাক’-এর প্রচারের জন্য দীপিকা, বিক্রান্ত ছাড়াও যাঁকে কেন্দ্র করে ফিল্মের গল্প, সেই লক্ষ্মী আগরওয়াল এসেছিলেন বিগ বসের ঘরে। সেখানেই লক্ষ্মীর জীবনের নানা স্ট্রাগলের কথা শুনতে শুনতে নিজের জীবনের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরেন রেশমী।
রেশমী জানান, গরিব পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারের সকলেই চেয়েছিলেন যাতে পুত্রসন্তান হয়। তাই রেশমীর জন্মের পর অখুশি হয়েছিলেন সবাই। তাঁর মাকে শুনতে হয়েছিল নানা গঞ্জনা। তাঁর বাবাও তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। নিজেকে ক্রমশ পরিবারের বোঝা মনে হতে থাকে রেশমীর। এমন একটা পরিস্থিতিতে আর সহ্য করতে না পেরে ওই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রেশমীর এক আত্মীয় তাঁর পাশে ছিলেন। তিনিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাঁচান রেশমীকে। অভিশপ্ত ছেলেবেলা কাটানো সেই মেয়েটাই আজ নিজের কেরিয়ারে যথেষ্ট সফল। তাই তিনি যে বাস্তবে একজন যোদ্ধা, সেকথা বলাই যায়।