অবতক খবর , সংবাদদাতা মালদা ঃ- শহরে টোটোর সংখ্যা মুড়ি মুরকির মতো বাড়তে শুরু করলে ব্যাকফুটে যেতে থাকে রিকশা। তখনও লড়াই করে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছিলেন। মুখ থুবড়ে যাওয়া অবস্থায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সময়ে করোনার থাবা। আরও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাঁদের। দিনের শেষে ২০০ টাকাও রোজগার হয় না তাঁদের। যাত্রীরা টোটোতে উঠলেও রিকশা উপেক্ষা করে চলছে। যদিও রিকশায় একজন সাবলীলভাবে যেতে পারছেন। এখন মাছি তাড়ানোর মতো অবস্থা রিকশা চালকদের। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঠাঁয় বসে রয়েছেন। যাত্রীদের দেখা নেই। ফলে রোজগার তলানিতে এসে ঠেকায় তাঁদের অতি কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। সামনে দুর্গা পুজো। ছেলে-মেয়েদের নতুন পোশাক কী করে কিনবেন দুশ্চিন্তায় কাটছে তাঁদের। মালদা শহরে একসময় ১৫ হাজার রিকশা চলাচল করত। এখন ১ হাজারে এসে ঠেকেছে। আগে আয় হতো ৪০০-৫০০ টাকা এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১৫০-২০০ টাকা।
রিকশাচালক এরশাদ আলির বাড়ি ইংলিশবাজারের সাট্টারির মোমিন পাড়ায়। এরসাদ আলির বয়স ৪৯। মালদা শহরের বিভিন্ন মহল্লায় টানা ৩৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে আসছেন। বিরামহীনভাবে চলছেই। এখন করোনা ও লকডাউনে এক করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে আয় হতো ৪০০-৫০০ টাকা। এখন হয় আয় হয় দিনের শেষে ১৫০ টাকাও হয় না। এই আয়ে কী করে সংসার চলবে, চিন্তা করে প্যাডেল মারতে হয়।’ তাঁর বাড়িতে রয়েছে এক মেয়ে ও দুই ছেলে। সকালের আলো ফুটতেই শহরে আসি। তারপর ভাড়া করি একটি রিকশা। ভাড়া বাবদ ২০ টাকা আর যাওয়া আসা সব নিয়ে ৫০-৬০ টাকা খরচ হয় দৈনিক। রাস্তার ধারে বসে যাত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুনতে হয় তাঁকে। একই অবস্থা রুহুল শেখ, প্রবীর মন্ডলদেরও।