ডিজিটাল ইন্ডিয়া! সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যপরিষেবা ভালো আছে, না উচ্ছন্নে যায়! অ্যাম্বুলেন্স কোথায়?

ঘরোয়া নারীর মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যায় পিতা ও পুত্র জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও তার পুত্র রামপ্রসাদ দেওয়ান জলপাইগুড়ির রাস্তায়।

৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউ ইয়ারের শুরু, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে এই দৃশ্য দেখা যায়!

মাথা ও কাঁধের গুরুত্ব

তমাল সাহা

যে লোকটি প্রথম মাথায় করে মায়ের ওজন মেপেছিল আর সেই ওজনদার ভার উপেক্ষা করে গাঙ্গেয় প্রবাহে ডুব দিয়েছিল তাকে আমি দেখিনি

তার সাবেকি ভিটে, মাটির ঘর, চাটাইয়ের বেড়া, পঞ্চবটী তলায় পঞ্চমুণ্ডের আসন

সেসব আমার মনে আছে

আর মাকে কাঁধে করে নিয়ে আমার যে পিতা প্রলয় নাচন নেচেছিল সে নাকি এক ভয়ঙ্কর নৃত্য! তখন আমার সেই পিতার নাম হয়ে গিয়েছিল রুদ্র বা নটরাজ তা আমাকে বলেছিল নজরুল সাহেব বোধ করি বিদ্রোহী কবিতায়

শরীরের দুটি অঙ্গ মস্তিষ্ক এবং স্কন্ধ মানে মাথা ও কাঁধের এই গুরুত্বের কথা বায়োলজি বা প্রাণিবিদ্যায় লেখা নেই

তো হিমালয় গিরিপ্রদেশের মহাদেব, হালিশহরের রামপ্রসাদ থেকে শুরু করে কালাহান্ডির দানা মাজি সরগুজার ঈশ্বর দাস জলপাইগুড়ির ক্রান্তিগ্রামের রামপ্রসাদের সঙ্গে কোথায় মিল তা খুঁজতে গিয়ে দেখি, তারা সবাই নারীদেহ বা মায়েদের মৃতদেহ একাই মাথায় বা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যায় দূর থেকে বহুদূর…

পুরাণের কাল থেকে ভারতের এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা সত্য না মিথ্যা এটা আমার কাছে বোঝা বড় দায়

তবে এই ভারতে জননী ও জাতকের মধ্যে মুগ্ধতার সম্পর্ক দেখে আমার হৃদয়ের জানালা কপাট খুলে যায়

এই হাড় কাঁপানো শীতে সেই বাহকদের চরণ ছুঁয়ে আমি প্রণাম রাখি তাদের পায়ের পাতায়