অবতক খবর, ডোমকল: মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২১। হঠাৎ করে এই পুরসভায় ওয়ার্ড ২২ টা বলে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর এই ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িগুলোতে শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে, ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, দমকল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৫০ টি পরিবারের জন্য শৌচাগার তৈরী করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা।
মূলত ২২ নম্বর বলে কোনো ওয়ার্ড নেই। কিন্তু কাগজে কলমে আছে ।টিনা নামের এক সংস্থার নামে সব টেন্ডার হয়েছে আর টাকা সব ওই অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে।
এখন সেই সংস্থার কোনো বৈধতা নেই বলে জানান।এই বিষয়ে দমকল পুরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘২২ নম্বর ওয়ার্ড উল্লেখ করে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার আকাউন্টে। কোন কাজ হয়নি, ভুয়ো বিল করা হয়েছে। আমাদের পুরসভায় ২২ নম্বর ওয়ার্ড নেই। আমরা তদন্ত করছি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
এই বিষয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা বহরমপুরের সংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘চোরেদের সরকার চোর তৈরী করেছে মমতা ব্যানার্জি। মমতা ব্যানার্জি তার দুটো টার্মে চোর তৈরী করেছে। সবাই জানে এটা চোরেদের দল, কাটমানি খাওয়ার দল।’ অধীর চৌধুরী এও বলেছেন, ‘যারা অভিযোগ করেছে তাদের জানাটা দরকার ছিল। পুর পরিচালন কমিটি, প্রশাসন জেনেছে। সবাই জেনে চুরি করেছে। আজ ভাগে কোন গন্ডগোল হয়েছে তাই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাগে গন্ডগোল না হলে এই দুর্নীতি সামনে আসতো না। বাংলায় এটাই তৃণমূলের প্রকৃত চেহারা।’ অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘মানুষের জন্য টাকা, মানুষের প্রতিষ্ঠান, সবকিছুকে লুঠ করো।পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পুরসভা, সরকারি দফতর সব জায়গাতেই লুঠ চলছে।’