অবতক খবর,৬ ডিসেম্বরঃ ডেঙ্গি নিজেরই রেকর্ড ভেঙ্গে ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে বঙ্গে। এক সময় বলা হয়েছিল ডেঙ্গির জন্য নাকি বাংলাদেশ দায়ী। মশাবাহিত এই রোগের হানাদারী এই রাজ্যকে আতঙ্কের মুখে এনে ফেলেছে। হিসেবে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার,২০২০ সালে তা অনেক কমে দাঁড়িয়েছিল ৫১৬৬ জনে।২০২১ সালের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮২৬৪। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭২৭১ আর এবার ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ দুই হাজারে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের জনস্বাস্থ্য শাখা থেকে জানা গেছে মিগজাউম ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ফলে জল জমে গেলে বেড়ে যেতে পারে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি। এটি একটি আতঙ্কের কারণ। তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির নিচে না নামা পর্যন্ত এডিস মশার বংশবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
জানা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের 16 টি জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনা প্রথম স্থানে রয়েছে। চলতি বছরে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮১ জন পয়লা জানুয়ারি থেকে এ যাবৎ কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৪১ জন। আমাদের জেলা সংলগ্ন নদীয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার৪৩৪ এবং হুগলিতে ৭ হাজার ৮৩৪ জন।