অবতক খবর,১ ডিসেম্বর : সামনেই আছে বোরো মরশুমের ধান চাষ আর ধান চাষ মানেই কৃষকেরা গতানুগতিকভাবে যেমন চাষ হয়ে আসছেন সেভাবেই করে থাকেন। বর্তমান সময়ে বাংলার কৃষকেরা ধান চাষে লাভ নেই এমনটাই অভিযোগ করে আসছেন। তবে কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান চাষীদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কখনো শ্রী বা SRI পদ্ধতিতে কখনোবা প্যাডিট্রান্সপ্লান্টার আবার কখনওবা ড্রাম সিডার মেশিনে ধান চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। গতানুগতিক চাষের থেকে ড্রামসিডার মেশিনে ধান চাষ করলে চাষের খরচ অনেক সাশ্রয় হবে কৃষি বিভাগের। সে কারণেই পিংলা ব্লকের কৃষি আধিকারিকেরা এলাকার ১০০ জন কৃষকদের নিয়ে ড্রামসিডারে কিভাবে চাষ করতে হয় তাই প্রশিক্ষণ দিলেন। পিংলা ব্লকের ডক্টর সৌমেন মন্ডল ও ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার অরুণাভ সামন্ত এদিন কৃষকদের পরামর্শ দিলেন। এদিন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি হাতেনাতে দেখালেন ড্রামসিডার মেশিনে কিভাবে ধান জমিতে বীজ ফেলতে হবে। গতানুগতিক চাষের থেকে এই ড্রামসিডারের ব্যবহার কতটা লাভজনক হয় সেদিন বোঝালেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার পিংলা ব্লকের কৃষি আধিকারিক ডঃ সৌমেন মন্ডল জানান, এই ড্রামসিডার পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
প্রথমত : বীজের পরিমাণ অনেকটাই কম লাগবে।
দ্বিতীয়ত : রোপনের জন্য বাড়তি খরচ হবে না, কারন বীজ থেকে যে গাছ জন্মাবে তা সরাসরি ভাবেই চাষ হবে।
তৃতীয়ত : ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে চাষে শ্রমিকের সংখ্যা অনেকাংশই কম থাকবে।
পাশাপাশি ধান তুলনামূলক আগে পাকবে। ফলে কৃষকেরা গতানুগতিক চাষের তুলনায় নুন্যতম ১০ থেকে ১৫ দিন আগে গোলাজাত করতে সক্ষম হবেন। এরকম একাধিক সুবিধে রয়েছে এই ড্রামসিডার পদ্ধতিতে চাষ করলে। উন্নত চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করে গতানুগতিক চাষের তুলনায় ড্রামসিডারে চাষ অনেকটাই লাভদায়ক।এদিন পিংলা ব্লকের বিটিএম অরুনাভ সামন্ত জানান, আসন্ন বোরো মরশুমে ধানচাষে প্রশিক্ষিত বেশ কিছু চাষি এবছর ড্রামসিডার পদ্ধতিতে চাষ করবেন, এমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন।