অবতক খবর,২৯ নভেম্বর: বাংলায় বিধানসভা ভোটের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে অপাসরণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন তাঁকে সরানো হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য মোদী-শাহ দেননি। তবে একুশের নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা আসনের ৭ টি বিধানসভার মধ্যে ৫ টিতে বিজেপি হারায় তা অনিবার্য ছিল বলে অনেকের মত।
মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরই অসন্তোষের কথা টুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বাবুল। পরে তা মুছে দেন। তার পর বলেন, তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। আবার সে কথা জানিয়েও মাস খানেক বাদে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই সঙ্গে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বাবুলের ইস্তফা গ্রহণের পর আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভায় তা জানিয়ে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। ফলে এ বার আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচনও অনিবার্য হয়ে গেল। আসানসোলে উপ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপি ইতিমধ্যে সেখানে সক্রিয়। সম্ভবত জীতেন্দ্র তিওয়ারিকে সেখানে প্রার্থী করবে গেরুয়া শিবির।
তবে তৃণমূল সূত্রের মতে, আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়কে হয়তো আর প্রার্থী করবে না তৃণমূল। বরং তাঁর স্থানে প্রার্থী হতে পারেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ আসনে সায়নী প্রার্থী ছিলেন। খুব কম ব্যবধানে তিনি পরাস্ত হয়েছেন। তবে মনোবল হারাননি তিনি। সংগঠনে এখন খুবই সক্রিয় এই যুবনেত্রী। দেখা যাক, মিমি, নুসরতের পাশাপাশি লোকসভায় স্থান হয় কিনা তাঁর।