সমগ্র ভারতবর্ষে তিনিই একা রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পদযাত্রার লড়াইয়ে এগিয়ে। বলোটলো, পার্শ্ব শিক্ষক, ডিজিটাল রেশন কার্ড, বেকারি সব এলোমেলো করে দিয়েছেন তিনি। তিনি এখন নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে হাঁটছেন

তিনি হাঁটছেন
তমাল সাহা

তিনি হাঁটছেন তেড়েফুঁড়ে
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।
মানুষ কি তাকে বিশ্বাস করে?

মৌলবি ভাতা দিয়ে
তিনি এখন অসাম্প্রদায়িক!
একথা বুকে হাত দিয়ে বলুন
তিনি, আমি নির্ভীক।

পুজোয় জ্বলে আতসবাজি
ভোট পুজোয় লাগে ধর্মবাজি।
সামনে কী আছে তুমি পাচ্ছো না দেখতে
এই হন্টন বড় প্রয়োজন,
লাগবে পৌর ভোট সামলাতে।

তিনি এখন হাঁটছেন তেড়ে ফুঁড়ে
হাঁটছেন রাজ্যজুড়ে।

কেউ বলছে না বনগাঁ রাজারহাটের কথা—
কে দিয়েছিল জমি
হবে ক্যাম্প ডিটেনশন।
চোরের মায়ের চিরকালই বড় গলা
তিনি বলছেন, তা এখন রিটেনশন।

তিনি হাঁটছেন তেড়ে ফুঁড়ে
নির্বোধ জনতা আছে তাকে ঘিরে।

বিল ঠেকাতে কেন নেই তারা
আটজন সাংসদ কাকে দিচ্ছিল পাহারা?
তিনি বলছেন না সেই কথা
বিরোধীদেরও নেই মাথাব্যথা।
তিনি ঘুরিয়ে দিয়েছেন রাস্তা
মিথ্যের ফুলঝুরিতে ভরে গেছে বস্তা!

তিনি হাঁটছেন তেড়ে ফুঁড়ে
পৌর ভোটও হাঁটছে অদূরে।

বারোটা বেশি ভোট
রাজ্যসভায় দিলো কারা?
খুঁজে বার করো তাদের—
তিনি বলছেন না, কেউই বলছেন না।
কোথাও কি সমস্যা আছে
বাঁটোয়ারা-ভাগের?

তিনি হাঁটছেন তেড়ে ফুঁড়ে
এর পেছনে ভোটের কাঠি নড়েচড়ে!

তিনি ভাজা মাছ উল্টে খান না
NPR বিষয়টি তিনি জানেন না!
এখন বলছেন বাতিল নয়, রাখো স্থগিত
পরে যদি ঘটে যায় হিতে বিপরীত!

তিনি হাঁটছেন তেড়ে ফুঁড়ে
পুরো রাজনীতির জল ঘোলা করে।

বিরোধীদেরও নাকি নাকি সুর শুনি এই বঙ্গে
তাকে নিয়ে লড়াই হবে নাকি একসঙ্গে।
কত রূপ দেখি একই অঙ্গে
বঙ্গ জনতা মজে আছে বেশ রঙ্গে।

তিনি হাঁটছেন নিজের কৌশলে
দেখুন শেষ পর্যন্ত বড় ফুল কী বলে!