আজ নাগাসাকি দিবস।
সাম্রাজ্যবাদী দেশ দ্বিতীয়বার মানুষখু নের অপরাধে অপরাধী হলো।হায়, এখনো মানুষ যুদ্ধ বাঁধাতে চায়!
তুমি কত নিষ্ঠুর প্রিয়তমা
তমাল সাহা
তুমি আমাকে নিষ্ঠুরভাবে গ্রহণ করেছ প্রিয়তমা
জড়িয়েছো চরম আলিঙ্গনে।
তবুও দেখো আমি কেমন বেঁচে আছি এই ভুবন-অঙ্গনে!
সেটা কত সাল ছিল মনে আছে তোমার?
শীতের সকাল ছিল কী, রৌদ্রালোকিত বলয়!
ভেবেছো কী বলয় শব্দটির ভেতরে লুকিয়ে ছিল এ কোন শান্ত লয়, বিশাল প্রলয়!
হাজার হাজার মানুষ যখন নিচ্ছিল জীবনের ঘ্রাণ
পেয়ে গেল শব্দহীন মৃত্যুর বরাত।
কত শিশু মরে ছিল যারা ছিল তখনও মায়ের উঁচানো পেটের ভিতর গর্ভজাত?
হাজার হাজার মানুষের মৃতদেহ পড়েছিল পথে ঘাটে।
পরমাণু! পরমাণু! তোমার কোন ভালোবাসার রসায়নে
শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তারা ছিল পলায়নরত?
মৃত্যুবিষ নিঃশব্দে ঢুকে যায় শ্বাস-প্রশ্বাসে ছড়িয়ে পড়ে
হাওয়ায় হাওয়ায়।
হাজার হাজার মানুষ যন্ত্রণা কাতর
মৃত্যুর প্রতিযোগিতা চলে আগুপিছু মানুষ মরে,অগণন মানুষ মারা যায়।
কত হাজার মানুষ করলে খুন
কোনো শাস্তিই পাবে নাকো খুনি!
এর উত্তর শাসক না জানুক আমরা তো জানি।
লক্ষ লক্ষ মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছো বিষ।
আমরা জানি
হত্যাকারীকে বাঁচাতে কারা তলে তলে দেয় শিস।
আমরা জানি
অযুত লক্ষ বিকলাঙ্গের এখনো চলেছে ধারা।
মানুষ মেরে খায় বিশ্বগ্রাসী মস্তান কারা?
হাজার হাজার বর্গমাইল জুড়ে
মাটির পেটে পরিবেশে মিশে গেছে বিষাক্ত পারদ,
লক্ষ লক্ষ মাতৃস্তনে বয়ে যায় সিসের গরল ধারা।
আমরা জানি
খুনির সাথে মিলিয়ে হাত
হত্যার পাশা খেলায় চাল দেয় কারা।
খুনির বিচার!
কেটে যায় বছরের পর বছর।
যুদ্ধের বিরুদ্ধে ফি বছর হিরোশিমা নাগাসাকি দিবস পালন,
লোকদেখানো শান্তির পতাকা ওড়ে।
সাম্রাজ্যবাদের ভক্তরা আস্তিন গুটিয়ে বোমা বারুদ মজুত করে ঘরে ঘরে।
কোথায় বিশ্ব মানবতা কে বরাভয়ী?
যে যত মানুষ মারতে পারে সেই তো সবচেয়ে বড় বিশ্বজয়ী!
শোনো, তোমরা বিশ্বের বড় বড় ষড়যন্ত্রী !
শাসক হাঁটে ডালে ডালে মানুষ হাঁটে পাতায় পাতায়।
সুর ও বেসুর দুই-ই কে বাজাতে জানে?
সকলেই জানে,
মানুষ এই দুনিয়ার সেরা বাদ্যযন্ত্রী–
সেই অনিবার্য পরম্পরা লেখা হয় ইতিহাসের পাতায়।