অবতক খবর,মালদা:সানু ইসলাম;১৩সেপ্টেম্বর: গতকালই মানে মঙ্গলবার মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সংবাদমাধ্যমের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল জেলা পরিষদের সদস্য এবং যেখানে নেতৃত্বের একাংশ। এবার সেই ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ বুধবার বিকেলে দাবানলের আগুনের মত ছড়িয়ে পড়লো হরিশ্চন্দ্রপুরে। হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য মকরম আলী ওরফে স্বপন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিন গঠন ছিল মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি।সেখানে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা থেকে কোন জয়ী সদস্য কর্মাধক্ষ্য পদ পাননি।আর তাতেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা থেকে জেলা পরিষদে কর্মাধক্ষ্যের দৌড়ে ছিলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান এবং মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষা মর্জিনা খাতুন। কিন্তু দুজনের কেউই পদ পাননি। হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার তৃণমূলের নেতা কর্মীদের অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। তাই হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা থেকে কেউ পদ পাননি।মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি।কর্মাধক্ষ্য পদ দেওয়া হয়েছে রহিম বক্সির ছেলে রিয়াজুল করিম বক্সী ওরফে বাবু বক্সী কে।চাঁচল বিধানসভা বা আরেক প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা থেকেও দুজন করে কর্মাধ্যক্ষ পদ পেয়েছে।কিন্তু বঞ্চিত করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরকে।আর এই চক্রান্তের পেছনে রহিম বক্সির সঙ্গে রয়েছেন মালদা জেলায় আইপ্যাকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুমার নামে এক কর্মী।বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আরো অভিযোগ জেলা সভাপতি এবং আইপ্যাক মিলে ভোটের আগে জেলা পরিষদের টিকিটও টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে।
প্রসঙ্গত মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত।ওই এলাকায় তৃণমূলের উত্থানের অন্যতম কান্ডারী।তাই বুলবুল খান পদ না পাওয়াই ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। যদিও এই বিষয় নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি রহিম বক্সী। তিনি বললেন দল যাকে ভালো মনে করেছে তাকে করেছে। এতে আমার কোন হাত নেই। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের। ব্যাপক অস্বস্তিতে তৃণমূল।