অবতক খবর,২৭ জুনঃ আজ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দুই নেতার বিদ্রোহ এই সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন শুধু দুই নেতা নয় অনেক নেতাই এই বিদ্রোহ করছে আপনারা হয়তো দুই নেতাকেই সামনে দেখছেন। হুমায়ুন সম্বন্ধে অধীর বলেন হুমায়ুন সে তাড়াতাড়ি করে সবকিছু বলে ফেলেন।
সে কথা বলার ক্ষেত্রে চাতুরতা না দেখে খাড়া খাড়ি কথা বলতে পছন্দ করেন। অধীর বলেন এ বিষয়ে আমি তাকে সমর্থন করছি না গুনগান গাইছি না যার যেটা চরিত্র সেটা আমি বললাম। অধীর বলেন তৃণমূলের বহু বিধায়কের বুকে এই কথা জমে আছে কিন্তু হুমায়ুনের মত কেউ প্রকাশ্যে এসে বলতে পারে না এই জায়গাটা হুমায়ুন অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা বলে তিনি জানান। অধীর বলেন তাই আমরা হুমায়ুনের মুখে প্রথম প্রতিবাদ শুনতে পেলাম। অধীর আর তৃণমূল দলকে বলেন যে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাদের দেখে মনে হচ্ছে হিন্দু তৃণমূল মুসলিম তৃণমূল। অধীর বলেন হুমায়ুন আর নিয়ামত শেখ এরা কোন আলাদা ব্যতিক্রমী লোক নয়। আজ সারা বাংলা জুড়ে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ দেখুনতো প্রদীপ চৌধুরী কে, বেপারী কে মুর্শিদাবাদের লোক সর্বোত্ত ঘুমাইত যে ক্ষোভ সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটছে বলে তিনি জানান।
তার মধ্যে কেউ সামনে এগিয়ে এসে বলতে পারছেন আর কেউ নিজের বুকের ব্যথা নিয়ে গুমড়ে মরছেন। তিনি বলেন আমরা তো অস্বীকার করতে পারবো না যে এই নিয়ামত শেখ তৃণমূলের বহু পুরনো লোক সুব্রত সাহা বহু পুরনো নেতা, আজ তারা যদি যোগ্যতা অনুসারে সম্মান পেত তাহলে তাদের মত মুখ দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ পেতো না। অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি বলেন সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর তার পরিবারের প্রতি তৃণমূল কি কখনো সম্মান জানিয়েছেন। অধীর চৌধুরী প্রয়াত সুব্রত সাহা সম্বন্ধে বলেন তিনি কিন্তু এই মুর্শিদাবাদ শহরে জেলায় ভদ্র সভ্যভাবে তৃণমূল পার্টি করে এই জেলায় তৃণমূলের স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছেন তারা কিন্তু সম্মান পায়নি। অধীর বলেন আজ তৃণমূলের সামনের সারিতে কে? কংগ্রেস দল থেকে গাদ্দারি করে যাওয়া সেই সমস্ত মীরজাফর আর ঘসেটি বেগমরা। তাদের জায়গা আছে, আর যারা তৃণমূল দলটাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তাদের এই দলে কোন সম্মান নাই বললে নদী তিনি বলেন স্বাভাবিকভাবে তৃণমূল দলে আজ পাওয়া আর না পাওয়ার বিভাজন বাড়ছে। অধীর বলেন সেই তৃণমূলের গতিবিধি দেখে আমরা হিন্দু তৃণমূল আর মুসলিম তৃণমূল এর চেহারা আমরা দেখতে পাচ্ছি।