অবতক খবর,১০ এপ্রিলঃ তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং বাম দল সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে আর মর্যাদা রইল না। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দল হিসাবে ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের কমিশনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন,”এখন এ বিষয়ে কিছু বলছি না। দলের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে বক্তব্য জানানো হবে।”
গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে কর্নাটক হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল এ ব্যাপারে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে।
তবে নির্বাচন কমিশন এর অনেক আগে থেকে তৎপরতা শুরু করেছিল। ইলেকশন সিম্বল (রিজারভেশন অ্যান্ড অ্যালটমেন্ট) অর্ডার ১৯৬৮ অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়-
১.লোকসভায় অন্তত চারটি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে।
২.লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে এবং আগের জেতা আসনের অন্তত চারটি পুনরায় জিততে হবে।
৩.অন্তত চারটি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল হিসাবে আম আদমি পার্টি এই শর্তপূরণ করছে। কারণ, দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাবেও তারা সরকারের রয়েছে। গোয়া ভোটে তারা ৬.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনেও আপ ভোট পেয়েছিল ১২.৯১ শতাংশ।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেছিল। মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৮.০২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। সেই সাফল্যে সওয়ার হয়ে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাংলার বাইরে একমাত্র মেঘালয় ছাড়া সাফল্য পায়নি।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মনিপুর প্রদেশে রাজ্য পর্যায়ের দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দিয়েছিল কমিশন। ৭ বছরের মাথাতেই সেই মর্যাদা হারাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
অপরদিকে মহারাষ্ট্রে এনসিপির ক্ষমতা সীমিত, একই অবস্থা সিপিআই, যে পার্টি অনেক দিন আগেই অঙ্কের হিসাবে জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন উদ্যোগী হয়ে তা এতদিন খারিজ করেনি। এবার এই তিন দল থেকেই জাতীয় তকমা কেড়ে নিলো কমিশন।