অবতক খবর,৩ অক্টোবর: পিতা মুকুল রায় এবং পুত্র শুভ্রাংশু রায়। উভয়েই বারবার দল বদল করলেন। তৃণমূল থেকে বিজেপি বিজেপি থেকে তৃণমূলে এলেন। তারা মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে যার পর নাই বিষোদগার করেছেন, বিভিন্নভাবে অপমান জনিত উক্তি করেছেন। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাদ্দার সম্পর্কে দুটো শ্রেণী বিভাজন করেছেন, ভালো গদ্দার এবং মন্দ গদ্দার। খুব সম্ভবত ভালো গদ্দার হিসেবেই তিনি পিতাপুত্রকে তাদের দলে নিয়েছেন। পিতা-পুত্র কলকাতায় তৃণমূল অফিসে যোগাদান করেছেন অভিষেক ব্যানার্জীর হাত ধরে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই দলীয় অন্যতম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এই পর্যন্ত ঠিকই আছে কিন্তু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর কয়েক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামীরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে এদিক ওদিক ঘুরছেন এবং তারা মাঝেমধ্যে শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এদের ভবিষ্যত কি? স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত তাদের দলে নিতে অনাগ্রহী। নাহলে তারা শুভ্রাংশু রায় এর সঙ্গেই দলে ঢুকে পড়তে পারতেন।
মাঝখানে শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামীরা অভিযোগ তোলেন যে, গুরু শুভ্রাংশু শিষ্যদের ছেড়েই দলবদল করল কিন্তু শিষ্যদের বিন্দুমাত্র জানালো না। এই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। কি করবেন এখন শুভ্রাংশু রায়? এদের কিভাবে তিনি তৃণমূলে আনবেন? ইতিমধ্যেই খবর, অনেক তৃণমূল কর্মী তো রয়েছেনই তাঁর অনুগামী অনেক তৃণমূল নেতাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চাইছেন।
তৃণমূলের এখন উল্লেখযোগ্য নেতা হলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক, অন্যদিকে টাউন সভাপতি অশোক তালুকদার। এঁরা কি ভাবছেন? কি করবেন? আমরা তা নজরে রাখছি। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি অর্থাৎ শুভ্রাংশু রায় ও তাঁর অনুগামীদের ভবিষ্যত কি সেটি নিয়ে পরবর্তী সংবাদে যাবো।
কিন্তু দলে যোগদান করার পর এত দিনের মধ্যেও শুভ্রাংশু রায়ও তৃণমূল দলে স্থানীয় ভাবে কেন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারলেন না, সেটাও একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়। আরো প্রশ্ন,এই শুভ্রাংশু রায় সুবোধ অধিকারীর বিরুদ্ধে লোহাচোর এমন সব মন্তব্য করেছিলেন। জানিনা এর পরিণতি কি হবে! তবে রাজনীতিতে এইসব কোন ব্যাপারই না।
কারণ আজ যে গদ্দার কাল সে সরদার।