আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: অবতক খবর :: ৬ই,ডিসেম্বর :: কোলকাতা:: তেলাঙ্গানা গণধর্ষণকাণ্ডের ৪ জন অভিযুক্তকে ভোররাতে পুলিশি এনকাউন্টারে খতম করার খবর এদিন ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে মানুষ কুর্নিশ করেছে পুলিশের উর্দিকে।
অভিযোগ ছিল, ২৭ নভেম্বর রাতে তরুণীর গণধর্ষণের পর তার মামলা দায়ের করতে গড়িমসি করেছে পুলিশ। আর তার জেরেই কয়েকদিন আগে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় জনতা।
কিন্তু শামশাবাদ এনকাউন্টারের পর মুহূর্ত থেকেই জনতার উল্লাসের ছবি কার্যত পাল্টে যায়। এদিন পুলিশ কর্মীদের হাতে রাখী পরিয়ে দিনটি পালন করেন পুলিশ। পুলিশকে কাঁধে তুলে উল্লাস পুলিশকে কাঁধে তুলে এদিন উল্লাসে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সংসদে যাওয়ার সময় এদিন সকালে বঙ্গ বিজেপির দাপুটে নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিনন্দন জানালেন তেলাঙ্গানা পুলিশকে। তেলাঙ্গানায় গণধর্ষণে অভিযুক্তের এনকাউন্টার নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, পার্টিগত বিভেদ থাকলেও , লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। দুই অভিনেত্রী তথা নেত্রী হয়ে ওঠা সাংসদ এদিন তেলাঙ্গানা পুলিশের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
দেরিতে হলেও সুবিচার মিলেছে’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার প্রসঙ্গে বললেন জয়া বচ্চন । কিছুদিন আগেই ওই চার অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারার কথা বলতে দেখা যায় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনকে। তার এই বক্তব্যের পরই উত্তাল হয় সংসদ। এবার পুলিশি এনকাউন্টারে ওই চার অভিযুক্তের মৃত্যুর পরও আবার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রি সাংসদকে।
এদিন এই প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন এই ঘটনায় যবনিকা পড়তে অনেক দেরী হয়েছে। অনেক সময় নেওয়া হয়ে গেছে। যদিও দেরীতে হলেও সুবিচার মিলেছে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। তাকে বলতে শোনা যায়, “দের আয়ে দুরুস্ত আয়ে”।
তেলাঙ্গানাকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়। হায়দরাবাদে মিষ্টি খাওয়ানো হল পুলিশকে হায়দরাবাদে পুলিশকর্তাদের দেখেই স্যালুট করেন মহিলরা। বহু পুলিশকর্তাকে সামেন পেয়ে অনেকেই হাতে পরিয়ে দেন রাখী। এদিন এনকাউন্টারের ঘটনাস্থলে পুলিশকে দেখেই পুষ্পবৃষ্টি করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
এদিন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় জানান, ‘এমন এনকাউন্টারকে আইনিভাবে বৈধতা দেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, সকালে উঠে এই খবর পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। লকেট বলেন, ‘মেয়েটার আত্মা শান্তি পেল।.. আমি ধন্যবাদ জানাই হায়দরাবাদ পুলিশকে।’
সাংসদ শতাব্দী রায়ও এদিন জানিয়েছেন একই সুরের প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন,অনেকেই বলবেন যে সাংসদ হিসাবে এই এনকাউন্টার কিভাবে সমর্থন করছি ! এরপরই তিনি বলেন, ‘ একজন মানুষ হিসাবে একজন মা হিসাবে বলতে পারি, ঠিক হয়েছে।’ তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়া চললেও তার ফলাফল মেলেনা। তিনি বলেন ,’জেলের মধ্যে বসে অপরাধীরা ফ্রায়েড রাইস খেত.. তা ঠিক নয়।’ তিনি বলেন, এই ঘটনায় সম্ভবত অনেকেই ভয় পাবেন।